মার্কিন রাজনীতি: ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়ছে রিপাবলিকানরা!

মার্কিন সিনেটের রিপাবলিকানরা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো একটি বাজেট কাঠামো তৈরি করা, যা কর হ্রাস, অভিবাসন নীতি এবং প্রতিরক্ষা ব্যয়ের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে একটি বৃহৎ বিল সিনেটে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস করার পথ সুগম করবে।

খবরটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রিপাবলিকানদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস) এবং সিনেটের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করা। এছাড়া, বিদ্যমান কর ছাড় অব্যাহত রাখলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণে কতটা প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়েও সিনেটের পার্লামেন্টারিয়ানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজেট বিষয়ক এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আগামী কয়েক সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সিনেটের নেতারা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বাজেট খসড়া চূড়ান্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর ফলে, কর, সীমান্ত নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং ব্যয় সংকোচনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে বৃহত্তর আলোচনা শুরু করা যাবে।

একইসঙ্গে, আগামী দুই বছরের জন্য ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়টিও এই প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাজেট পাসের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর, পরবর্তী পদক্ষেপগুলো আরও কঠিন হতে পারে। সিনেটের প্রস্তাবিত বিলটি সম্ভবত হাউসের সঙ্গে পুরোপুরি মিলবে না।

তাই, সিনেটে এটি পাস হওয়ার পর, প্রতিনিধি পরিষদকে তাদের নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করতে হবে এবং কিছু ক্ষেত্রে সিনেটের পরিবর্তনগুলো গ্রহণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি রিপাবলিকান নেতা, মাইক জনসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে, কারণ তাকে হাউসের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে।

এই মুহূর্তে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কর হ্রাসের পরিমাণ কত হবে, এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার জন্য কত অর্থ বরাদ্দ করা হবে, সেই সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত নেওয়া। এই বিষয়গুলো নির্ধারণের জন্য আইনপ্রণেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।

সিনেটের অর্থ বিষয়ক কমিটির প্রধান, মাইক ক্রাপো জানিয়েছেন, সদস্যরা তাদের কর বিষয়ক প্রস্তাবগুলো জমা দিয়েছেন। প্রত্যেক সদস্যই এই বিলে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছেন। উদাহরণস্বরূপ, কেউ হয়তো গবেষণা ও উন্নয়ন করের পরিমাণ বাড়াতে চাইছেন, আবার কেউ হয়তো শিশু করের পরিমাণ বাড়াতে আগ্রহী।

বাজেট প্রস্তুতের এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। হাউসের স্পিকার মাইক জনসন আশা করছেন, মেমোরিয়াল ডে’র মধ্যে এই চূড়ান্ত প্যাকেজটি প্রেসিডেন্টের টেবিলে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

এই মুহূর্তে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ মার্কিন ডলার = ১১৭.৬০ বাংলাদেশি টাকা (পরিবর্তনশীল)।

তথ্য সূত্র: সিএনএন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *