বিদেশি ছাত্রকে এখনই deport করা যাবে না: আদালতের চূড়ান্ত রায়!

যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত সম্প্রতি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশগ্রহণের অভিযোগে তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে এবং তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আদালতের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, মোমোদু তাল নামের ওই শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্য ও গাম্বিয়ার নাগরিক। তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছিলেন।

কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাল ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে জড়িত ছিলেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভেঙেছে এবং ইহুদি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার ছাত্র ভিসা বাতিল করা হয়।

আদালতে তাল তার বিরুদ্ধে সরকারের বিতাড়ন প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিচারক তাৎক্ষণিকভাবে তা মঞ্জুর করতে রাজি হননি।

বিচারক বলেছেন, তাল তার আবেদনের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ জমা দিতে পারেননি। একইসঙ্গে, তাল যে দুটি নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, আদালত মনে করে বিতাড়ন প্রক্রিয়া বন্ধ করার এখতিয়ার তার নেই।

জানা গেছে, তাল এবং আরও কয়েকজন মিলে গত ১৫ই মার্চ সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

তাদের বক্তব্য ছিল, ওই নির্বাহী আদেশগুলো তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে।

ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কিছু বিদেশি নাগরিককে দেশ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেছে।

তাদের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েল বিরোধী এবং হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল। যদিও শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে কথা বলার কারণেই তাদের টার্গেট করা হচ্ছে।

এই ঘটনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটি শিক্ষা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর একটি আঘাত।

তারা বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *