যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শক্তি অবকাঠামোতে হামলার বিষয়ে একটি ‘অস্থির’ যুদ্ধবিরতি চলছে। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
খবর অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই আংশিক যুদ্ধবিরতি গঠনে মধ্যস্থতা করেছে, যদিও এর বিস্তারিত এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশই তাদের শক্তি অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো বন্ধ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, এর মধ্যেই পরস্পরবিরোধী অভিযোগ উঠেছে।
রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন তাদের শক্তি কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে, অন্যদিকে ইউক্রেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পাল্টা রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলার অভিযোগ করেছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এখনো বিদ্যমান এবং পূর্বাঞ্চলীয় ডনেটস্ক অঞ্চলে যুদ্ধ তীব্রভাবে চলছে।
ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ান বাহিনীর ওপর ভারী ক্ষতি করেছে এবং তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগ করেছে।
একইসাথে, ইউক্রেনও রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে, বিশেষ করে সুমি এবং খারকিভ অঞ্চলে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই উভয় পক্ষ বন্দী বিনিময়ের দিকেও মনোযোগ দিয়েছে।
জানা গেছে, উভয় দেশই কিছু বন্দী বিনিময় করেছে। তবে, এর মাঝে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্ত যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই বিষয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে, ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার কর্নেল জেনারেল ওলেksandr Syrskii জানিয়েছেন, রাশিয়ান সৈন্যদের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৫ মাসে প্রায় ৫ লক্ষ ৪০ হাজার সৈন্য হতাহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষী মুখপাত্র আন্দ্রেই ডেমচেঙ্কো জানিয়েছেন, রাশিয়ান সেনারা সুমি অঞ্চলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।
এছাড়াও, সুমি শহরে অন্তত ৩০০ বার গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি কত দিন স্থায়ী হবে, তা বলা কঠিন।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা