ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, যা এখনো অনেকের কাছেই অজানা। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই স্থানটিকে ইউরোপের সবচেয়ে কম পরিচিত এবং সুন্দর স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গবেষণাটি করেছে একটি ভ্রমণ বিষয়ক সংস্থা, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইউরোপের লুকানো রত্নগুলোর সন্ধান করা।
গবেষণায় জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত ‘প্রাগৈতিহাসিক আল্পীয় হ্রদের বসতি’ (Prehistoric Pile Dwellings Around the Alps) হলো সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। এই স্থানটি খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৫০০ অব্দের মধ্যে তৈরি হওয়া মানব বসতির নিদর্শন বহন করে।
এখানকার সংস্কৃতি ও ইতিহাসের গভীরতা পর্যটকদের মন জয় করে। গুগল ম্যাপের পর্যালোচনায় স্থানটি ‘সুন্দর’ এবং ‘আশ্চর্যজনক’ ইত্যাদি শব্দ দ্বারা ১১৭ বার উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও, স্থানটির ইতিবাচকতার স্কোর ছিল ৮৩, যেখানে প্রতি মাসে স্থানটি গুগলে মাত্র ২০ বার খোঁজা হয়।
গবেষণায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুইস আল্পসের জংফ্রাউ-আলেচ (Swiss Alps Jungfrau-Aletsch)। এই স্থানটি ‘ইউরেশিয়ার বৃহত্তম হিমবাহ’ হিসেবে পরিচিত এবং এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
এখানকার দৃশ্য “grandeur” বা “গৌরবময়” হিসেবে পর্যালোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পর্তুগালের সিন্ট্রা-ক্যাসকাইস ন্যাশনাল পার্ক (Sintra-Cascais Natural Park)।
পর্যটকদের মতে, এই স্থানটি “charming” বা “আকর্ষণীয়” এবং “striking” বা “চিত্তাকর্ষক”।
তবে, পর্যটকদের আগ্রহের দিক থেকে সবার উপরে ছিল স্কটল্যান্ডের লেক নেস (Loch Ness)। এখানকার কিংবদন্তি প্রাণী এবং মনোরম দৃশ্যের কারণে প্রতি মাসে প্রায় ৭০,০০০ বার এই স্থানটি গুগলে অনুসন্ধান করা হয়।
ইউরোপে ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত আরও অনেক স্থান রয়েছে যা এখনো অনেকের কাছে অজানা। আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং হাঙ্গেরির মতো দেশগুলোতেও এমন কিছু স্থান রয়েছে, যা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হতে পারে।
ঐতিহাসিক স্থানগুলোর প্রতি আগ্রহ থাকলে, এই গবেষণা আমাদের নতুন কিছু গন্তব্যের সন্ধান দেয়, যা হয়তো আমাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় ভিন্নতা যোগ করতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্র্যাভেল অ্যান্ড লিজার