মার্ক কার্নের সাথে ফোনালাপ! উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির মধ্যে সম্প্রতি একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা ও শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে এই ফোনালাপ হয়।

জানা গেছে, আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করা এবং ভবিষ্যতের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা।

কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর মার্ক কার্নি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছেন।

এর অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফর করেছেন। তবে, ঐতিহ্যগতভাবে কানাডার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সহযোগী এবং মিত্র হওয়া সত্ত্বেও, এখনো তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেননি।

আলোচনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে এবং তারা বিভিন্ন বিষয়ে একমত হয়েছেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, কানাডার আসন্ন নির্বাচনের পর দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হবে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জন্য উপকারী হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কানাডার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন এবং জানান, তারা যুক্তরাষ্ট্রের এমন কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করেন না যা কানাডার অর্থনীতিকে দুর্বল করে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের আগের সম্পর্ক, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা বিষয়ক ঘনিষ্ঠতার ওপর ভিত্তি করে গঠিত ছিল, সেটি এখন অতীত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের কারণে কানাডা এখন তাদের বাণিজ্য সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অন্যান্য দেশের দিকে প্রসারিত করতে চাইছে। আসন্ন নির্বাচনে কার্নির দল লিবারেল পার্টির জন সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যার একটি কারণ হলো ট্রুডোর পদত্যাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বিরোধ।

বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে, এই ধরনের বাণিজ্য বিরোধ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের যেকোনো পরিবর্তন আমাদের অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

তাই, এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকাটা জরুরি।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *