মার্ক কার্নির সাথে ফোনালাপ, ট্রাম্পের মন্তব্যে কানাডায় তোলপাড়!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির মধ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি “ফলপ্রসূ” ফোনালাপ নিয়ে আলোচনা চলছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই এই গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনটি হয়।

হোয়াইট হাউজের অনুরোধে হওয়া এই ফোনালাপটি ছিল দুই নেতার মধ্যেকার প্রথম আলোচনা, যখন কার্নি গত ১৪ই মার্চ কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের দেওয়া বার্তায় নরম সুর ছিল, যেখানে তিনি কার্নিকে সঠিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর আগে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সমালোচনা করে আসছিলেন।

কার্নি এর আগে জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প যদি কানাডার স্বাধীনতাকে সম্মান দেখান তবেই তিনি তার সঙ্গে কথা বলবেন।

এই সপ্তাহের শুরুতে দেওয়া এক বক্তব্যে কার্নি জানান, তাদের আলোচনা “আলোচনার শুরু”, শেষ নয়।

ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ঘোষণার পর এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য বানানোর হুমকির মধ্যে কার্নি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়া নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র এখন আর নির্ভরযোগ্য অংশীদার নয়।

ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমে আমরা হয়তো কিছু আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারব, কিন্তু কোনো কিছুই আগের মতো থাকবে না।”

কানাডার প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, “আমাদের যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরতা কমাতে হবে। বাণিজ্য সম্পর্ক অন্য কোথাও তৈরি করতে হবে।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র কানাডার গাড়িশিল্পের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ। কানাডায় উৎপাদিত ১০ লাখের বেশি গাড়ি ও হালকা ট্রাক যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়।

এই পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার কার্নি আকস্মিকভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, তাঁর লিবারেল পার্টি অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো ফল করবে।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ট্রাম্প ও কার্নি সরাসরি মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *