মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা ইউএসএআইডি (USAID)-কে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মর্মে তারা দেশটির কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়েছে।
আগামী ১লা জুলাইয়ের মধ্যে এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
ইউএসএআইডি, যা মূলত বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে কাজ করে থাকে, সেই সংস্থাটিকে বিলুপ্ত করার এই পদক্ষেপ অনেককেই চিন্তায় ফেলেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডি-র বিরুদ্ধে করদাতাদের অর্থ অপব্যবহার এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নের অভিযোগ এনেছে। তবে, ইউএসএআইডি-র বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মী এবং উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্থাটি ত্রুটিপূর্ণ হলেও গুরুত্বপূর্ণ মানবিক চাহিদা পূরণ করে এবং আমেরিকার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
ইউএসএআইডি একটি বহুজাতিক সংস্থা, যা বিভিন্ন দেশে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করে থাকে। দরিদ্র দেশগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অবকাঠামো উন্নয়নে তারা বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে।
বিশেষ করে, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ এবং জরুরি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে ইউএসএআইডি-র ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এই সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে এবং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউএসএআইডি-র কার্যক্রম এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হবে। এর ফলে উন্নয়ন সহায়তা বিষয়ক নীতি এবং কর্মসূচিতে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনো জানা যায়নি, তবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রম এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির ওপর এর প্রভাব নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বর্তমানে, অনেক দেশই ইউএসএআইডি-র কাছ থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সহায়তা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও যদি এই সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব আসে, তবে তা বিশেষভাবে লক্ষণীয় হবে।
তবে, এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন এবং বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সংক্ষেপে, ইউএসএআইডি-কে ভেঙে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।
এর ফলস্বরূপ উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচির ধরন এবং অর্থায়নে পরিবর্তন আসতে পারে, যা বিভিন্ন দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন