ভার্জিন আটলান্টিকের নতুন লাউঞ্জ: হলিউডের ঝলমলে জগতে যাত্রা!

ভার্জিন আটলান্টিক-এর নতুন লাউঞ্জ: লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা।

লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এলএএক্স) তাদের নতুন ক্লাবহাউস লাউঞ্জ চালু করেছে রিচার্ড ব্র্যানসনের বিমান সংস্থা ভার্জিন আটলান্টিক। হলিউডের ঝলমলে দুনিয়ার সঙ্গে মিল রেখে তৈরি এই লাউঞ্জে রয়েছে আরাম এবং বিনোদনের নানা ব্যবস্থা, যা আন্তর্জাতিক রুটে ভ্রমণকারীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

এই লাউঞ্জের প্রবেশপথটি যেন রেড কার্পেটের মতো, যা সরাসরি রুবি রুম সিনেমা হলের দিকে নিয়ে যায়। এখানে বসে ব্লুটুথ হেডসেটের মাধ্যমে সিনেমা উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। ভিআইপি-দের জন্য রয়েছে ‘দ্য রয়্যাল বক্স’, যেখানে বিশেষ আলো এবং মেনুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি, কর্মক্ষেত্রগুলিতেও ভার্জিন রেকর্ডসের স্টুডিওর স্মৃতিচিহ্ন রাখা হয়েছে।

ভার্জিন আটলান্টিকের প্রধান গ্রাহক এবং পরিচালন কর্মকর্তা করনিল কোস্টার জানান, লস অ্যাঞ্জেলেস তাদের কাছে একটি বিশেষ স্থান, যেন দ্বিতীয় বাড়ি। এই নতুন ক্লাবহাউস লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের প্রতি উৎসর্গীকৃত।

যাত্রীদের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে এখানে তৈরি করা হয়েছে ‘যেন ডেন’। এখানে ব্র্যানসন নিজেই একটি স্মার্ট ফিটনেস আয়নার মাধ্যমে অতিথিদের স্বাগত জানান। স্বল্পমেয়াদী ব্যায়াম, স্ট্রেচিং এবং মেডিটেশনের ব্যবস্থা রয়েছে, যা মন, শরীর ও আত্মার শান্তির জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। দীর্ঘ ভ্রমণের আগে বিশ্রাম এবং শরীরচর্চার জন্য এখানে যোগা ম্যাট ও অন্যান্য সরঞ্জামও উপলব্ধ। লস অ্যাঞ্জেলেসের নিজস্ব হার্বাল পণ্য দিয়ে তৈরি শাওয়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরের (এলএইচআর) মধ্যে চলাচলকারী রাতের ফ্লাইটের কথা মাথায় রেখে, লাউঞ্জের আলো দিনের বেলায় পরিবর্তিত হয়, যা ভ্রমণকারীদের শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখতে সহায়ক। সন্ধ্যায় এখানকার বারে ক্যালিফোর্নিয়ার সূর্যাস্তের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়।

অভিনেতা অ্যালান কামিং ঘুমের আগে একটি গল্প শোনান, যা যাত্রীদের বিশ্রাম নিতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, “আমি সম্মানিত বোধ করছি যে, আমার কণ্ঠস্বর এমন একটি গল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে, যা ভার্জিন আটলান্টিকের ফ্লাইটে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীদের শান্ত করবে।”

এখানে একটি বিশেষ ককটেলও রয়েছে, যার নাম ‘টুইস্টেড অ্যাঞ্জেল’। এছাড়াও, নন-অ্যালকোহলিক পানীয়ের মেনুতে রয়েছে ব্রিটিশ ব্র্যান্ড ‘ট্রিপ’-এর পানীয়, যা ম্যাগনেসিয়াম এবং ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি এবং যা শরীরে প্রশান্তি এনে দেয়।

খাবারের মেনুতে ব্রিটিশ ক্লাসিক যেমন ফিশ অ্যান্ড চিপস এবং চিকেন টিক্কা মাসালার পাশাপাশি ক্যালিফোর্নিয়ার বিশেষ খাবারও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ক্যালিফোর্নিয়া রোল, টফু ফো, টুনা পোকে বাউল এবং ক্যালিফোর্নিয়া ফিগ সালাদ। কিউআর কোডের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করার এবং সিটে বসে তা উপভোগ করারও ব্যবস্থা রয়েছে।

ভার্জিন আটলান্টিকের ‘আপার ক্লাস’ এবং ‘ফ্লাইং ক্লাব গোল্ড’ শ্রেণীর সদস্য এবং আন্তর্জাতিক রুটে ভ্রমণকারী ‘ডেল্টা ওয়ান’ যাত্রীরাও এই লাউঞ্জে প্রবেশ করতে পারবেন। টার্মিনাল ৩-এর আগমনী গেটে ‘ডেল্টা ওয়ান’-এর যাত্রীদের জন্য বিশেষ চেক-ইন এলাকাও রয়েছে, যেখানে কনসিয়ারেজ পরিষেবা এবং দ্রুত নিরাপত্তা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *