মিল্টনকে ট্রাম্পের ক্ষমা: হতবাক সকলে!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে, ইলেক্ট্রিক ও হাইড্রোজেন ট্রাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিকোলার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ট্রেভর মিল্টনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

অক্টোবর ২০২২ সালে সিকিউরিটিজ ও তারের মাধ্যমে হওয়া জালিয়াতির অভিযোগে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত মিল্টনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর ফলস্বরূপ, তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

মিল্টন, যিনি এক সময়ে তার কোম্পানির ভবিষ্যৎ নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছিলেন, মূলত তার রাজনৈতিক সমর্থনের কারণেই এমনটা হয়েছেন বলে ট্রাম্পের ধারণা। ট্রাম্পের মতে, মিল্টন তার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সমর্থন করার কারণেই সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে মিল্টন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, তিনি ট্রাম্পের কাছ থেকে একটি ফোন কল পেয়েছেন, যেখানে তাকে সম্পূর্ণ ও নিঃশর্ত ক্ষমা করার কথা জানানো হয়েছে।

ক্ষমা ঘোষণার পর মিল্টন বলেন, এই ক্ষমা শুধু তাঁর একার বিষয় নয়, বরং এটি সেইসব আমেরিকানদের জন্য, যারা সরকারের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মিল্টনের এই ক্ষমার ফলে কারাবাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ছাড়াও শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে নির্দেশ ছিল, সেটিও তিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন।

শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, মিল্টনের মামলাটি ইউটা থেকে নিউ ইয়র্কে স্থানান্তর করা হয়েছিল, যা ছিল অন্যায়।

তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করেন যে, মিল্টনকে মূলত তাঁর সমর্থক হওয়ার কারণে টার্গেট করা হয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, এমন অনেকেই আছেন যারা ট্রাম্পকে সমর্থন করেন এবং তাঁদেরকেও বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে।

এই ঘটনার মাধ্যমে, ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্ষমতা এবং তাঁর সমর্থক envers-এর প্রতি তাঁর বিশেষ মনোযোগের বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আরও বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *