যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে। এই বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ক্যাটরিনা আর্মস্ট্রং পদত্যাগ করেছেন। তাঁর এই পদত্যাগের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল।
ক্যাটরিনা আর্মস্ট্রংয়ের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের কো-চেয়ার ক্লিয়ার শিপম্যান। তিনি এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাস থেকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি তৃতীয় নেতৃত্ব পরিবর্তন। এর আগে বিক্ষোভ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারার অভিযোগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিনুশে শফিক পদত্যাগ করেছিলেন।
জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফেডারেল ফান্ড বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
এর পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নমনীয় হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কিছু দাবি পেশ করা হয়।
- ক্যাম্পাসে মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ করা,
- নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং
- মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকা বিষয়ক বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।
এই সিদ্ধান্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার পর, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ধরনের পরিবর্তনের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
হার্ভার্ডের সেন্টার ফর মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজের (Center for Middle Eastern Studies) কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিও পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা গেছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ট্রাম্প প্রশাসন, কলম্বিয়া ও হার্ভার্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভে জড়িত বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিতাড়িত করারও পদক্ষেপ নিচ্ছে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানকার এই ঘটনা দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: The Guardian