মহাকাশে এক বিরল দৃশ্য, যা সরাসরি দেখা যাবে না আমাদের দেশ থেকে। শনিবার, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের কিছু অংশে দেখা যাবে একটি আংশিক সূর্যগ্রহণ। তবে, এই গ্রহণটি বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না। কিন্তু সূর্যগ্রহণের বিজ্ঞান সবসময়ই আমাদের জন্য কৌতূহলের বিষয়।
আসুন, জেনে নিই এই গ্রহণ সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য এবং কীভাবে নিরাপদে এই গ্রহণ দেখা যেতে পারে।
সূর্যগ্রহণ হলো এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ, সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে এসে সূর্যের আলো আংশিকভাবে অথবা সম্পূর্ণরূপে ঢেকে দেয়। যখন চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে দেয়, তখন তাকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে।
আর যখন চাঁদ, সূর্যকে আংশিকভাবে ঢেকে দেয়, তখন তাকে আংশিক সূর্যগ্রহণ বলা হয়। এই আংশিক গ্রহণটি দেখা যাবে যুক্তরাজ্য, পশ্চিম ইউরোপ, গ্রিনল্যান্ড, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা এবং উত্তর-পূর্ব আমেরিকার কিছু অংশে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সময়ে ওইসব অঞ্চলের আকাশে সূর্যের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ঢাকা থাকতে পারে।
যদিও এই গ্রহণটি বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না, তবে সূর্যগ্রহণের ধারণা এবং এটি দেখার পদ্ধতিগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খালি চোখে সরাসরি সূর্যগ্রহণ দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
সূর্যের আলোকরশ্মি আমাদের চোখের রেটিনার মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই, গ্রহণ দেখার জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নিতে হয়।
গ্রহণ দেখার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো, বিশেষ সৌর ফিল্টারযুক্ত চশমা ব্যবহার করা। এই চশমাগুলো সূর্যের ক্ষতিকর আলোকরশ্মিকে শোষণ করে এবং আমাদের চোখের জন্য নিরাপদ করে তোলে।
এছাড়াও, পিনহোল ক্যামেরা বা ছিদ্রযুক্ত কাগজের মাধ্যমেও গ্রহণ দেখা যেতে পারে। একটি কাগজের টুকরোতে ছোট একটি ছিদ্র করে, সেই ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে সূর্যের আলো ফেললে, তা অন্য একটি পৃষ্ঠে সূর্যের প্রতিবিম্ব তৈরি করবে, যা নিরাপদে দেখা যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা সবসময় মহাকাশের এইসব ঘটনা নিয়ে গবেষণা করেন। এই ধরনের গ্রহণগুলো সৌরজগতের জটিল ক্রিয়াকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
যদিও এই গ্রহণটি আমাদের দেশ থেকে দেখা যাবে না, তবে ভবিষ্যতে এমন অনেক গ্রহণ হবে যা বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে। তাই, জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ থাকলে, এই বিষয়ে আরও বেশি জানার চেষ্টা করা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: The Guardian