রেকর্ড গড়ে তাক লাগানো ১৫ বছরের কিশোর! অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন

মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বাজিমাত! নিউজিল্যান্ডের কিশোর স্যাম রুথে গড়েছেন ইতিহাস, দৌড়েছেন চার মিনিটের কম সময়ে। সম্প্রতি অকল্যান্ডের একটি ট্র্যাকে অনুষ্ঠিত দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন স্যাম।

এই বয়সে চার মিনিটের কম সময়ে এক মাইল দৌড়ানোর কৃতিত্ব দেখিয়ে তিনি এখন সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

দৌড় শেষ করার পর স্যামের অভিব্যক্তি ছিল দেখার মতো। যেন কোনো কিছুই হয়নি, এমন একটা ভঙ্গি ছিল তার। এই কিশোর যেন উড়তে জানেন!

রজার ব্যানিস্টারের কীর্তির বহু বছর পর, স্যাম যেন সেই ইতিহাসকে নতুন করে লিখলেন।

শ্যামের বাবা-মা দুজনেই ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের দৌড়বিদ। মা-ও ছিলেন চ্যাম্পিয়ন।

শুধু তাই নয়, তাঁর ঠাকুরমা রোজমেরি স্টার্লিং ১৯৭০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে ৮০০ মিটার দৌড়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।

খেলাধুলার এমন ঐতিহ্য নিয়ে বেড়ে ওঠা স্যামের উপর কখনোই কোনো চাপ ছিল না। তাঁর বাবা-মা চেয়েছেন, ছেলে খেলাধুলার পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক।

১৩ বছর বয়স পর্যন্ত তাকে কোনো প্রশিক্ষণ নিতেও দেননি তাঁরা।

তবে, নিজের সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর স্যাম জানিয়েছেন, খেলাধুলায় তাঁর বড় স্বপ্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, “যদি একটি জিনিস বেছে নিতে হয়, তবে অবশ্যই অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিততে চাই। আমি মনে করি, এটা প্রত্যেক দৌড়বিদের স্বপ্ন এবং সবচেয়ে বড় অর্জন।”

২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে অংশগ্রহণের ব্যাপারেও তিনি খুবই আগ্রহী।

ইতিমধ্যে, স্যামের নাম নরওয়ের ইয়াকব ইনgeбриgtsen-এর মতো বিখ্যাত দৌড়বিদদের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে।

ইনgebrigtsen-এর সর্বকনিষ্ঠ চার মিনিটের মাইল দৌড়ের রেকর্ড ভেঙেছেন স্যাম।

চলতি বছর ১৫০০ মিটারেও তিনি ইনgeбриgtsen-কে পেছনে ফেলেছেন।

শ্যামের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাঁর প্রশিক্ষক ক্রেইগ কার্কউড এবং অ্যাথলেট স্যাম ট্যানার।

সম্প্রতি ৩:৫৮.৩৫ সেকেন্ড সময়ে এক মাইল দৌড় শেষ করেন স্যাম। তাঁর এই সাফল্যের জন্য প্রশিক্ষক ও স্যাম ট্যানারের অবদান অনস্বীকার্য।

কৃতজ্ঞতা স্বরূপ, স্যাম তাঁর দৌড়ের জুতা নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ কার্কউড, ট্যানার এবং তাঁদের যুব উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ব্যয় করা হবে।

বর্তমানে জুতাটির দাম ১০,০০০ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা)।

শ্যামের বাবা বেন রুথে বলেন, “আমার ছেলে তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস অন্যদের সাহায্য করার জন্য দিতে চাইছে, এটা দেখে আমি গর্বিত।”

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *