যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গাড়ির দাম বাড়াতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছে সিএনএন।
জানা গেছে, আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা আগামী ৩ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। শুধু তাই নয়, বিদেশি গাড়ির যন্ত্রাংশের উপরও একই হারে শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এর ফলে গাড়ির উৎপাদন খরচ বাড়বে, যা ক্রেতাদের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই শুল্ক নীতি যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি প্রস্তুতকারকদের জন্য খুব একটা সুবিধা বয়ে আনবে না। বরং, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় গাড়ির দাম আরও বাড়তে পারে।
এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে আসা স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম এবং তামার মতো কাঁচামালের উপরও শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা গাড়ির উৎপাদন খরচ আরও বাড়িয়ে দেবে।
গোল্ডম্যান স্যাকসের হিসাব অনুযায়ী, এই শুল্কের কারণে প্রতিটি গাড়ির দাম ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ ডলার পর্যন্ত বাড়তে পারে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বেশি।
এমন পরিস্থিতিতে, গাড়ি কেনা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
আগে, উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ছিল। এর ফলে মেক্সিকো থেকে প্রচুর পরিমাণে গাড়ি ও যন্ত্রাংশ আসত।
কিন্তু নতুন শুল্ক নীতির কারণে সেই পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। যদিও এখনো পর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির (ইউএসএমসিএ) আওতায় শুল্কমুক্তভাবে কিছু গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে, তবে অদূর ভবিষ্যতে এই সুবিধা নাও থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি হওয়া সব গাড়ি যে সম্পূর্ণভাবে আমেরিকান, তা নয়। বিভিন্ন দেশ থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, গত বছর ভলভো, মিতসুবিশি, ফোক্সভাগেন ও হুন্দাইয়ের মতো কয়েকটি কোম্পানির অন্তত ৬০ শতাংশ গাড়ি বাইরে থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি হয়েছে।
মোটকথা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে একটা প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে গাড়ির বাজারে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কও প্রভাবিত হতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন