ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে খেলার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে ক্রিস্টাল প্যালেস। এফএ কাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পথে ফুলহ্যামকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। এই জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দলের অন্যতম সেরা তারকা, ইবেরেচি এজে।
তার অসাধারণ নৈপুণ্যে মুগ্ধ ফুটবলপ্রেমীরা।
ক্রিস্টাল প্যালেসের হয়ে খেলার মাঠে নেমে শুরু থেকেই ঝলক দেখান এজে। ম্যাচের শুরুতেই তিনি এক দুর্দান্ত গোল করেন। এরপর সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন আরেকটি গোল।
তার পায়ের জাদু এবং দ্রুতগতির আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে ফুলহ্যামের রক্ষণভাগ। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একক দক্ষতায় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শটে গোল করেন এজে। এরপর তার বাড়ানো পাস থেকে গোল করেন সতীর্থ ইসমাঈলা সার।
এজে’র এই পারফরম্যান্স বুঝিয়ে দেয় কেন তিনি দলের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ। মাঝমাঠে তার উপস্থিতি দলের আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
বল পায়ে তার কারুকাজ এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের জন্য এক মূর্তিমান আতঙ্ক। খেলার ধরনের কারণে অনেক সময় তাকে ‘ক্যাজ-বলার’ বা ‘রাস্তার প্লেয়ার’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়, কারণ তার খেলার নিজস্ব একটা স্টাইল আছে।
এই ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসের রক্ষণভাগেও দেখা গেছে দৃঢ়তা। ফুলহ্যামের আক্রমণগুলো তারা দারুণভাবে প্রতিহত করেছে।
মাঝমাঠে অ্যাডাম হোয়ার্টন ছিলেন বেশ সক্রিয়। তিনি দ্রুততার সঙ্গে বলের যোগান দিয়েছেন এবং সতীর্থদের আক্রমণভাগে সাহায্য করেছেন।
পুরো ম্যাচ জুড়েই ক্রিস্টাল প্যালেসের খেলোয়াড়রা ছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসী। তাদের এই জয় বুঝিয়ে দেয়, এফএ কাপের শিরোপা জেতার মতো সামর্থ্য তাদের রয়েছে।
এখন সেমিফাইনালে ভালো ফল করে তারা হয়তো বহু প্রতীক্ষিত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পাবে।
এবারের এফএ কাপ জয় নিঃসন্দেহে ক্রিস্টাল প্যালেসের জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ। কারণ এই টুর্নামেন্টটি কেবল ইংল্যান্ডেই নয়, সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরাও এই টুর্নামেন্টটি বেশ আগ্রহ নিয়ে অনুসরণ করেন। এখন দেখার বিষয়, এজে’র ঝলমলে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় ক্রিস্টাল প্যালেস কতদূর যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান