শিরোনাম: বিশ্বজুড়ে ‘টেসলা টেকডাউন’: এলন মাস্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড়
বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মিলে মাস্ক ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা কমানোর চেষ্টা করছেন—এমন অভিযোগ তুলে এই বিক্ষোভ হচ্ছে।
শনিবার, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টেসলার শোরুমগুলোর সামনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবাদকারীরা মূলত তিনটি বিষয়কে সামনে এনেছেন: টেসলার গাড়ি কেনা বন্ধ করা, টেসলার শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া এবং ‘টেসলা টেকডাউন’ আন্দোলনে যোগ দেওয়া। আন্দোলনকারীদের মূল বক্তব্য হলো, ‘টেসলার ক্ষতি মানে মাস্ককে থামানো’।
তাদের মতে, মাস্ককে থামানো গেলে জীবন ও গণতন্ত্র রক্ষা করা সম্ভব।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাটছাঁট করতে চাইছেন। এর ফলে সরকারি কর্মীদের চাকরি হারানোর পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা এবং শিক্ষাখাতেও প্রভাব পড়তে পারে।
বিক্ষোভকারীরা মাস্কের রাজনৈতিক আদর্শ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
গত শনিবার, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে শুরু করে ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে টেসলার শোরুমগুলোর সামনে প্রতিবাদ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যেও বিক্ষোভ হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক, ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ওয়াশিংটন ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে, কানাডাতেও এই প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখা গেছে।
লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা মাস্কের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।
তাদের মতে, মাস্ক চরম ডানপন্থীদের অর্থ যোগান দিচ্ছেন।
আন্দোলনকারীরা সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, তাদের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে হওয়া উচিত।
প্রতিবাদকারীরা মনে করেন, জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে, তাই এই ধরনের প্রতিবাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান