ঐতিহাসিক জয়! নিউক্যাসলের উল্লাসে কাঁপছে শহর, আবেগঘন দৃশ্যে মুগ্ধ সবাই!

নিউক্যাসল ইউনাইটেড: কাপ জয়, আর উৎসবের ঢেউ!

ফুটবল মাঠের উত্তেজনা আর উল্লাসের রেশ তখনও কাটেনি, তার মধ্যেই যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসল নিউক্যাসল শহর। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কারাবাও কাপ জয়লাভের পর, দলটির খেলোয়াড় ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বিজয় উৎসবে মাতল কয়েক লক্ষ সমর্থক। মাঠ থেকে শুরু করে শহরের রাজপথ, উৎসবের আমেজ ছিল চোখে পড়ার মতো।

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে লিভারপুলকে হারিয়ে কারাবাও কাপ জেতার পর, নিউক্যাসলের খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা জানাতে প্রস্তুত ছিল গোটা শহর। খেলোয়াড়দের বহনকারী দুটি বাসের যাত্রা শুরুর আগে, শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রায় দুই লক্ষ মানুষ ভিড় করে। এরপর, সেন্ট জেমস পার্ক থেকে টাউন মুরের দিকে যাত্রা শুরু হয়। টাউন মুরে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার দর্শক এই উৎসবে যোগ দেয়।

স্থানীয় সময় অনুযায়ী, খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের মঞ্চে আসার আগে, বিশাল স্ক্রিনে ফাইনাল ম্যাচের পুনঃপ্রচার করা হয়। স্থানীয় ব্যান্ড এবং জনপ্রিয় শিল্পী অ্যান্ট ও ডেক-এর পরিবেশনা দর্শকদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়। একদিকে যখন সমর্থকেরা বাসের ছাদে উঠে খেলোয়াড়দের অভিবাদন জানাচ্ছিল, অন্যদিকে, অনেকে আবার শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভিড় করে প্রিয় দলের খেলোয়াড়দের এক ঝলক দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।

কোচ এডি হাউয়ের নেতৃত্বে খেলোয়াড়েরা যখন ট্রফি হাতে মঞ্চে উঠেন, তখন যেন উৎসবের চূড়ান্ত মুহূর্তটি আসে। খেলোয়াড়দের চোখেমুখে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। তাঁদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে জয়ধ্বনি দিচ্ছিলেন সমর্থকেরা। এ যেন এক বিরল দৃশ্য! খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সমর্থক, সবার একটাই সুর – “আমরা আরও চাই!”

১৯৫৫ সালের এফএ কাপ জয়ের পর এই প্রথম কোনো বড় ট্রফি ঘরে তুলল নিউক্যাসল। তাই এই জয় যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিউক্যাসলের মানুষের বাঁধনহারা উচ্ছ্বাস দেখলেই বোঝা যায়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সমর্থকেরা তাঁদের প্রিয় দলের জার্সি পরে, ব্যানার হাতে, নেচে-গেয়ে বিজয় উদযাপন করেন। এমনকি, শহরের দোকানগুলোতেও উৎসবের আমেজ ছিল।

এই উৎসবে শুধু স্থানীয়রাই নয়, বিভিন্ন দেশ থেকেও সমর্থকেরা যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, কেনিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষজন।

এই জয় নিউক্যাসল ইউনাইটেড-এর সমর্থকদের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ফুটবল ভালোবাসেন এমন যে কোনো মানুষের কাছেই এই ধরনের দৃশ্য আনন্দের। এই জয় শুধু একটি দলের জয় নয়, বরং একটি শহরের মানুষের স্বপ্নপূরণের গল্প।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *