আতঙ্কের জন্ম! প্রাক্তন প্রেমিকার গুরুতর অভিযোগে অ্যান্ড্রু টেট!

বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অ্যান্ড্রু টেটের বিরুদ্ধে এবার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন তার এক প্রাক্তন প্রেমিকা।

লস অ্যাঞ্জেলেসে দায়ের করা একটি নতুন মামলায় এই অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে, নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য পরিচিত এই প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানব পাচার ও নারীদের যৌন শোষণের অভিযোগ উঠেছিল।

মামলার অভিযোগে, টেটের প্রাক্তন প্রেমিকা ব্রায়ানা স্টার্ন জানিয়েছেন, টেট তাকে প্রথমে ভালোবাসার অভিনয় করে আকৃষ্ট করেন এবং পরে তার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন।

স্টার্নের ভাষ্যমতে, সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলের একটি হোটেলে টেট তাকে মারধর ও শ্বাসরোধ করেন। ঘটনার পর তিনি শারীরিক ও মানসিক আঘাতের শিকার হন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।

তবে, টেটের আইনজীবী জোসেফ ম্যাকব্রাইড, স্টার্নের আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি একে ‘অর্থ আদায়ের চেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, “একজন নির্দোষ মানুষের বিরুদ্ধে আদালতের প্রক্রিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”

অন্যদিকে স্টার্ন জানিয়েছেন, তিনি ভয় পেয়েছিলেন এবং প্রথমে টেটের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু পরে তিনি সাহস করে এগিয়ে আসেন এবং তার আইনজীবীর মাধ্যমে এই অভিযোগ জানান।

আদালতে পেশ করা নথিতে দেখা যায়, স্টার্ন ও টেটের মধ্যে সম্পর্কের শুরুটা হয় প্রতারণার মাধ্যমে। স্টার্ন জানান, একসময় টেট তাকে নিজের সম্পত্তি বলেও উল্লেখ করতেন।

স্টার্ন আরও অভিযোগ করেন, টেট তাকে মারধর ও গর্ভবতী করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন।

টেটের বিরুদ্ধে বর্তমানে রোমানিয়াতেও মানব পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি ও তার ভাই, ট্রিস্টান টেট, উভয়ই এই মামলায় অভিযুক্ত। যদিও তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, এই দুই ভাইয়েরই ব্রিটিশ ও মার্কিন নাগরিকত্ব রয়েছে।

অ্যান্ড্রু টেট একসময় পেশাদার কিকবক্সার ছিলেন। তিনি অনলাইনে প্রচুর অনুসারী তৈরি করেছেন, যাদের অধিকাংশই তরুণ ও কিশোর।

নারীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের কারণে তিনি একসময় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যের চারজন নারীও টেটের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। যদিও ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করেনি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *