প্রেমের ফাঁদে: বয়স্ক প্রেমিকের ভালোবাসা নাকি ছলনা?

প্রেমের টানাপোড়েন: বয়সের ব্যবধানে সম্পর্কের জটিলতা

সম্প্রতি এক নারীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানা গেছে, যেখানে তিনি তাঁর চেয়ে বয়সে অনেক বড় একজন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাঁদের সম্পর্ক গভীর হলেও, সেই সম্পর্কে রয়েছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা।

সম্পর্কের শুরুটা বেশ সুন্দর ছিল, কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সেই পুরুষটি সম্পর্ক থেকে দূরে সরে যেতে চান। সম্পর্কের এই ধরনের উত্থান-পতন নিয়ে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ওই নারীর ভাষ্যমতে, তাঁর পরিচিত একজন মানুষের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা হয়, যিনি বয়সে তাঁর চেয়ে অনেক বড়। তাঁদের মধ্যে শারীরিক এবং মানসিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

শুরুতে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও, কিছু দিন পর থেকেই সেই পুরুষটি নানা অজুহাতে তাঁর থেকে দূরে থাকতে শুরু করেন। তিনি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চান না এবং বয়সের পার্থক্যের কারণে তাঁর সমস্যা হচ্ছে বলে জানান।

এমনকি তিনি ওই নারীকে তাঁর বয়সী কারও সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু যখন ওই নারী সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন, তখন আবার সেই পুরুষটি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এভাবে গভীর সম্পর্ক তৈরি হওয়া এবং পরে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

ওই নারী জানিয়েছেন, একসঙ্গে কাটানো সুন্দর দিনগুলোর স্মৃতি তাঁকে আকর্ষণ করে, কিন্তু তাঁর এই ভালোবাসার মানুষটির এমন আচরণে তিনি হতাশ।

বিষয়টি নিয়ে মনোবিদদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। মনোবিদরা বলছেন, এই ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীর আচরণ বিশ্লেষণ করা জরুরি।

তাঁদের মতে, অনেক সময় অতীতের কোনো ঘটনার কারণে মানুষ এমন আচরণ করে। শৈশবের কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা অথবা কাছের মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা না পাওয়ার কারণেও এমনটা হতে পারে।

এর ফলে, ভালোবাসার মানুষটিকে হারানোর ভয় তৈরি হয় এবং সম্পর্ক গভীর হওয়ার আগেই তা ভেঙে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, সঙ্গীর এমন আচরণের কারণ হতে পারে মানসিক দুর্বলতা। গভীর সম্পর্ক তৈরি হলে সেই দুর্বলতা আরও বেড়ে যায়, যা তিনি হয়তো প্রকাশ করতে চান না।

তাই তিনি সম্পর্ক থেকে দূরে থাকতে চান।

এই পরিস্থিতিতে মনোবিদরা ওই নারীকে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, নিজের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে।

যদি সম্পর্কটি তাঁর জন্য ভালো না হয়, তবে তা থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করা উচিত না। কারণ, সবার আগে নিজের ভালো থাকাটা জরুরি।

যদি অতীতের কোনো ঘটনার কারণে এমনটা হয়ে থাকে, তবে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। এতে নিজের ভেতরের অনুভূতিগুলো বুঝতে এবং সেগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে।

সম্পর্কের এই টানাপোড়েন থেকে মুক্তি পেতে হলে, নিজের ভেতরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সেগুলোর সমাধানে মনোযোগী হতে হবে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *