ফ্রান্সে মার্কিন ‘হস্তক্ষেপ’, ট্রাম্পের ডিইআই নিয়ে বিতর্ক!

ফরাসি মন্ত্রী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ফরাসি কোম্পানিগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন সময়ে গৃহীত কিছু নীতির প্রসঙ্গে এই অভিযোগ উঠেছে, যা বিভিন্নতা, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক (Diversity, Equity, and Inclusion – DEI) কর্মসূচিগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেছিল।

রবিবার, ফরাসি মন্ত্রী অরোরা বের্জে এই বিষয়ে মন্তব্য করেন।

তিনি জানান, মার্কিন দূতাবাস থেকে ফরাসি কোম্পানিগুলোর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেখানে তাদের ট্রাম্পের DEI নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।

এই ধরনের পদক্ষেপকে তিনি ‘হস্তক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং একে ফরাসি কোম্পানিগুলোর উপর একটি ‘ডিক্টেট’ চাপানোর চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।

ফরাসি দৈনিক ‘লে ফিগারো’ পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যানুসারে, চিঠিটি সম্ভবত প্যারিসে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মার্কিন সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করে এমন সব কোম্পানির জন্য, তাদের জাতীয়তা নির্বিশেষে, ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ প্রযোজ্য হবে।

চিঠিতে কোম্পানিগুলোকে একটি প্রত্যয়নপত্র পূরণ করে পাঁচ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই প্রত্যয়নপত্রে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে, তারা কোনো DEI কর্মসূচি পরিচালনা করে না, যা কোনো ফেডারেলen বিরোধী আইন লঙ্ঘন করে।

যদি কোনো কোম্পানি এই প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে রাজি না হয়, তবে তাদের বিস্তারিত কারণ জানাতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রী বের্জে আরও জানিয়েছেন যে, ফরাসি সরকার এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কতগুলো কোম্পানিকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন যে, অনেক ফরাসি কোম্পানি এই চিঠির জবাব দিতে রাজি নয়।

কারণ, তাদের মতে, এটি মার্কিন দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত একটি ‘আলটিমেটাম’-এর মতো।

বের্জের মতে, ফ্রান্স সরকার কোনোভাবেই তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সামাজিক প্রগতি থেকে বিরত থাকতে দেবে না।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, অনেক ফরাসি কোম্পানি তাদের নিয়ম পরিবর্তন করতে রাজি নয়।

এই ঘটনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো তাদের নিজস্ব নীতি ও ব্যবসায়িক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে, যা ভবিষ্যতে বিশ্ব বাণিজ্যের গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *