মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা, ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই), ওই ছাত্রকে আটকের কারণ জানায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি এবং তারা আটকের বিষয়ে কোনো তথ্যও পায়নি।
জানা গেছে, মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের এই শিক্ষার্থীর আটকের ঘটনার পর সেখানকার রাজনৈতিক নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত কারণ অনুসন্ধানে তারা ফেডারেল কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার। তিনি বলেছেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এছাড়াও, মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এবং মিনিয়াপলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে’ও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটকৃত শিক্ষার্থীকে আইনি সহায়তা ও অন্যান্য সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট লেবার ইউনিয়ন-ইউনাইটেড ইলেকট্রিক্যাল লোকাল ১১০৫ এর সদস্যরা একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
তারা মনে করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ অভিবাসন নীতির কঠোর প্রয়োগের অংশ।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আটকের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের মতে, এটা একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ যার মাধ্যমে অভিবাসীদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা এই ধরনের ‘সংবিধান লঙ্ঘনের’ তীব্র নিন্দা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে হুমকি হতে পারে এমন অ-নাগরিকদের ভিসা বাতিলের ক্ষমতা দেয় এমন একটি আইনের অধীনে, ট্রাম্প প্রশাসন বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বা তাদের বিতাড়িত করেছে।
আটকদের অনেকেই গাজায় যুদ্ধ নিয়ে হওয়া বিক্ষোভের সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
তবে, ঠিক কী কারণে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে, তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। আইসিই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার জেরে সেখানকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সিনেটর টিনা স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে তাদের পরিবার ও পরিচিতজনদের থেকে দূরে এসে পড়াশোনা করে।
তাদের একজন সহপাঠীকে এভাবে আটকের ঘটনায় তারা কতটা ভীত, তা আমি কল্পনা করতে পারি না।”
বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে এবং আটকের আসল কারণ উদঘাটনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস