শিরোনাম: ট্রাম্পের তৃতীয় মেয়াদ চাওয়ার ইঙ্গিত, ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের উপর ক্ষোভ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আলোচনায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সংবিধানের সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ‘পন্থা’ তার জানা আছে। এই মন্তব্য প্রকাশের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন নীতি নিয়ে ‘খুবই ক্ষুব্ধ’। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি না মানলে রাশিয়ার তেলের উপর শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। এই বিষয়ে তিনি কতটা কঠোর হতে পারেন, তা নিয়েও অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে আসার আগ্রহের বিষয়টি সরাসরিভাবে সামনে আসে। যদিও তিনি এটিকে প্রথমে হালকাভাবে প্রকাশ করেন, পরে জানান যে তিনি ‘ঠাট্টা করছেন না’। এমনকি, কিভাবে তিনি এই পদে আসতে পারেন, সেই বিষয়েও কিছু ইঙ্গিত দেন। সেক্ষেত্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট বা অন্য কারো মাধ্যমে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, নির্বাচিত হওয়ার পর পদত্যাগ করার একটি ধারণাও আলোচনায় উঠে এসেছে।
অন্যদিকে, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবও সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুতিনের কৌশল।
এছাড়াও, হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস ডিনারে এবার কৌতুক অভিনেতার পরিবর্তে অন্য কিছু পরিবেশনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে সাধারণত প্রেসিডেন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের একটি মিলনমেলা হয়, যেখানে কৌতুক পরিবেশনও একটি অংশ থাকে।
রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ খবর এসেছে। একটি ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থা তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে ‘বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তি’ বিষয়ক শব্দগুলো বাদ দিয়েছে। একইসাথে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অভিবাসন সংস্থা (ICE) মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ডিটেনশন নিয়েও আলোচনা চলছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সাম্প্রতিক মন্তব্য ও কার্যক্রম আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, তার তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগ্রহ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বজুড়ে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
