শিরোনাম: ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ, প্লে-অফে মুখোমুখি হতে পারে ক্লাব আমেরিকা ও এলএএফসি।
ফিফা (FIFA) ক্লাব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য একটি প্লে-অফ ম্যাচের কথা বিবেচনা করছে। এই প্লে-অফে লস অ্যাঞ্জেলেস ফুটবল ক্লাব (LAFC) এবং ক্লাব আমেরিকা একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে।
মূলত, মেক্সিকোর ক্লাব লিওনের (Club León) পরিবর্তে এই দলগুলোর মধ্যে একটি দল খেলার সুযোগ পেতে পারে। ক্লাব লিওন একই মালিকানার অধীনে থাকা আরেকটি ক্লাব, পাচুকার (Pachuca) সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের একাধিক ক্লাবের ওপর নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব বিস্তার করা চলবে না, যারা এই প্রতিযোগিতায় খেলছে।
এই প্লে-অফ ম্যাচটি খেলার কারণ হলো, ক্লাব লিওনকে টুর্নামেন্ট থেকে সরানোর পর তাদের স্থান পূরণ করা। প্লে-অফের বিজয়ী দল শুধু বিশ্বকাপ খেলার সুযোগই পাবে না, বরং তারা ফিফার কাছ থেকে প্রায় ৯.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারও পাবে।
এছাড়া, তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ হবে চেলসি।
ফিফা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা প্লে-অফের জন্য এলএএফসি এবং ক্লাব আমেরিকাকে বেছে নিয়েছে। এই দুটি দলকেই কনকাকাফ অঞ্চলের দলগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ, কোস্টারিকার দল, এলডি অ্যালাজুয়েলেন্স (LD Alajuelense) ক্লাব লিওনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল। তবে ফিফা সরাসরি তাদের এই সুযোগ দেয়নি।
ফিফার এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্লাব লিওনের খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট। দলের ক্যাপ্টেন আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো (Andrés Guardado) এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “যারা আমাদের জায়গা পাওয়ার জন্য হাত তুলছে, তাদের নিজেদের প্রতি লজ্জা হওয়া উচিত।
এটা একটা নিষ্ঠুর অবিচার।”
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, ক্লাব বিশ্বকাপ দলগুলো তাদের কনফেডারেশনের চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে অথবা ফিফার ক্লাব র্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে থেকে এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। নিয়ম অনুসারে, একটি দেশ থেকে সর্বোচ্চ দুটি ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারে, যদি না তারা তাদের কনফেডারেশনের চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে থাকে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, ফুটবল বিশ্বে ক্লাব ফুটবলের গুরুত্ব এবং ফিফার সিদ্ধান্তগুলো কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তা আরও একবার প্রমাণিত হলো।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান