এমেলি স্যান্ডের চোখে সঙ্গীতের জাদুকরী জগৎ: পছন্দের গানের অজানা গল্প!

এমিলি স্যান্ডের গানের ভুবন: পছন্দের গান আর জীবনের গল্প।

ব্রিটিশ সঙ্গীত জগতে সুপরিচিত নাম এমিলি স্যান্ডে। তাঁর অসাধারণ কণ্ঠ এবং গানের কথার গভীরতা শ্রোতাদের মন জয় করে। সম্প্রতি, তিনি তাঁর জীবনে প্রভাব ফেলেছে এমন কিছু গানের একটি তালিকা তৈরি করেছেন, যা শুনে আমরা তাঁর সঙ্গীত জীবনের নানা দিক সম্পর্কে জানতে পারি।

গানের এই ভুবনে ডুব দেওয়ার আগে চলুন, জেনে নেওয়া যাক তাঁর পছন্দের গানগুলো এবং সেগুলোর পেছনের গল্প।

এমিলি স্যান্ডের প্রথম পছন্দের গানগুলির মধ্যে একটি হল রেজিনা স্পেকটরের “স্যামসন”। ১৬ বছর বয়সে প্রথম প্রেমের সময়ে তিনি এই গানটি শোনেন এবং মুগ্ধ হয়ে যান।

এরপর তিনি মারিয়া ক্যারির “অল আই ওয়ান্ট ফর ক্রিসমাস ইজ ইউ” গানটি কেনেন, যা ছিল তাঁর সংগ্রহে আসা প্রথম একক গান। মেরিয়া ক্যারির “মিউজিক বক্স” অ্যালবামটি তাঁর বাবার মাধ্যমে শুনে তিনি ছোটবেলা থেকেই মারিয়ার গানের ভক্ত ছিলেন।

ক্যারওকের জন্য এমিলি স্যান্ডের পছন্দের গান হল ব্রিটনি স্পিয়ার্সের “…বেবি ওয়ান মোর টাইম”। ১২ বছর বয়সে এই গানটি শুনে তিনি পপ সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট হন। তাঁর নাচের ধরন ও স্টাইল তাঁকে মুগ্ধ করে।

যদিও ক্যারওকেতে সবাই তাঁর কাছ থেকে বড় কোনো ব্যাল্ড গান আশা করে, তবে তিনি মজা করতেই বেশি ভালোবাসেন।

“রেন্ট” নামক একটি সঙ্গীত থিয়েটার দলের সাথে কাজ করার সময় “সিজনস অফ লাভ” গানটি গেয়েছিলেন এমিলি। আশ্চর্যের বিষয় হল, ২৫ বছর পরেও তিনি গানের প্রতিটি লাইন মনে রেখেছেন।

পার্টিতে বাজানোর জন্য এমিলির প্রিয় গান হল লরিন হিলের “ডু ওআপ (দ্যাট থিং)”। হিপ-হপ ড্রামস এবং সুরের মিশ্রণ তাঁকে সবসময় আনন্দ দেয়।

অন্যদিকে, ডনি হ্যাথাওয়ের “এ সং ফর ইউ” গানটি শুনলে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। গানের গভীরতা এবং শিল্পীর জীবনের ট্র্যাজেডি তাঁকে স্পর্শ করে।

টাইটানিক সিনেমার প্রতি দুর্বলতা থেকে একসময় সেলিন ডিওনের “মাই হার্ট উইল গো অন” গানটি এমিলি অনেকবার শুনেছেন। স্কুলের কনসার্টে, এমনকি বন্ধুদের সাথেও তিনি গানটি গেয়েছেন।

বর্তমানে তিনি গানটি কিছুদিনের জন্য দূরে রাখতে চান।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার জন্য স্টিভি ওয়ান্ডারের “স্যার ডিউক” গানটি এমিলির খুব প্রিয়। গানের প্রাণবন্ততা তাঁকে উদ্দীপ্ত করে।

এমিলি স্যান্ডের পছন্দের তালিকায় আরও একটি মজার গান রয়েছে। “গ্রীস” সিনেমার সাউন্ডট্র্যাকের প্রতি তাঁর দুর্বলতা রয়েছে। বন্ধুদের সাথে “গ্রেজড লাইটিন'” শুনলে তিনি বিরক্ত হওয়ার ভান করেন, তবে এই সিনেমার গানগুলো তাঁর শৈশবের অনেক প্রিয় স্মৃতির সঙ্গে জড়িত।

এমিলি স্যান্ডের জীবন বদলে দেওয়া গানটি হল জনি মিচেলের “ব্লু”। গ্লাসগো থেকে লন্ডনের রাতের ট্রেনে যাওয়ার সময় তাঁর ম্যানেজার এই গানটি শোনার পরামর্শ দেন। গানটি শোনার পর সঙ্গীতের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ বদলে যায়।

তিনি বুঝতে পারেন, “সংগীতে কোনো নিয়ম নেই, আপনি যা চান তাই করতে পারেন; এটি আপনার বলার গল্পের উপর নির্ভরশীল।”

সবশেষে, এমিলি তাঁর অন্তিম বিদায়ের জন্য বেছে নিয়েছেন হুইটনি হিউস্টনের “মাই লাভ ইজ ইয়োর লাভ” গানটি।

বর্তমানে এমিলি স্যান্ডের নতুন একক “রুটস” মুক্তি পেয়েছে, যা ভেনাস রেকর্ডস থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর গানের এই ভুবন আমাদের শুধু গান শোনায় না, বরং জীবনের নানা রঙের সাথে পরিচিত করায়।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *