ম্যাঁরি লে পেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি: তোলপাড় ফ্রান্স!

ফরাসি চরম-ডানপন্থী রাজনীতিক মারিন লে পেনকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে প্যারিসের একটি আদালত। এই রায়ের ফলে ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনাও হুমকির মুখে পড়েছে।

সোমবার (স্থানীয় সময়) সকালে এই রায় ঘোষণা করা হয়। তবে, তার সাজার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি, যা সম্ভবত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানানো হবে।

আদালতের শুনানির আগে, প্যারিসের কৌঁসুলি মারিন লেপেনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, যার মধ্যে দুই বছর স্থগিত, ৩ লক্ষ ইউরোর জরিমানা এবং পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার আবেদন করেছিলেন।

লে পেন এবং তার দল ন্যাশনাল র‍্যালি (RN)-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তারা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের তহবিল ব্যবহার করে এমন কর্মীদের বেতন দিয়েছে, যারা আসলে ফ্রান্সে RN-এর হয়ে কাজ করত। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, ফ্রান্সের বর্তমান বিচারমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানান, লে পেনকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তা “গভীরভাবেshocking” হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মারিন লেপেন এর আগে তিনবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এবার এই রায়ের কারণে ২০২৭ সালের নির্বাচনে তার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে।

জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, যিনি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, তার জায়গায় লেপেন আসতে পারেন।

লেপেন তার দলের ভাবমূর্তি পরিবর্তনেরও চেষ্টা করছেন। এক সময়ের উগ্র-ডানপন্থী দল হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল র‍্যালি, বর্ণবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ থেকে দূরে সরে আসার চেষ্টা করছে, যাতে দলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে এবং নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

এই মামলার রায় ফরাসি রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, আদালত লেপেনের সাজা কী ঘোষণা করে এবং এর পরবর্তী রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া কেমন হয়।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *