ফর্ম তুঙ্গে থেকেও বাদ, হতাশ বেন ফোকস! কেঁদে ফেললেন?

বেন ফোকস: ইংল্যান্ড দলের হয়ে খেলার সুযোগ হারানোর পর নতুন পথের দিশা

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক হিসেবে বেন ফোকসের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার যেন উত্থান-পতনের এক গল্প। এই বছরগুলোতে দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়ার জন্য তাকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলারের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সঙ্গে লড়াই করে দলে নিজের জায়গা পাকা করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে।

ফোকসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুটা হয় ২০১৮ সালে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। সেই সিরিজে তিনি অসাধারণ পারফর্ম করে সকলের নজর কাড়েন এবং ম্যান অফ দা সিরিজ নির্বাচিত হন। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেলেও, কিছুদিনের মধ্যেই দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।

২০২২ সালে আবার দলে ফিরে এসে ভালো পারফর্ম করেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেঞ্চুরিও করেন। তবে, ২০২৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে তাকে বাদ দিয়ে জনি বেয়ারস্টোকে দলে নেওয়া হয়।

এরপর ২০২৩ সালের শেষের দিকে নিউজিল্যান্ড সফরেও তিনি দলের বাইরে ছিলেন।

ফোকসের মতে, “আমার ক্যারিয়ার সবসময় মসৃণ ছিল না। ভালো খেললেও দল থেকে বাদ পড়েছি, আবার খারাপ খেললেও সুযোগ পেয়েছি। কখনো মনে হয়নি আমি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, যাদের উপর ভরসা করা যায়।”

এই অনিশ্চয়তা তার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বলেন, “বছরের পর বছর ধরে এই অনিশ্চয়তা আমাকে মানসিক দিক থেকে দুর্বল করে দিয়েছে। খেলার প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছিল, কারণ সবসময় দল নির্বাচনের চাপ অনুভব করতাম।”

ইংল্যান্ড দল যখন তরুণ খেলোয়াড়দের দিকে ঝুঁকছে, তখন ফোকস তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন। তিনি এখন সাদা বলের ক্রিকেটে আরও ভালো করার জন্য চেষ্টা করছেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনো তিনি ভালো খেলছেন এবং সারের হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার জন্য মুখিয়ে আছেন।

ফোকস মনে করেন, “টেস্ট ক্যারিয়ার হয়তো শেষ, তবে সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি এখন সারের হয়ে ভালো পারফর্ম করতে চাই এবং সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই।”

ফোকস এখন পর্যন্ত ২৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তার ব্যাটিং গড় ২৯.২। দেশের মাটিতে খেলা ৬টি ম্যাচে তার গড় ছিল ৪০। তবে, তাকে কখনো দলের হয়ে উপরের সারিতে ব্যাটিং করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

ফোকস তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিবাচক এবং আশাবাদী। তিনি জানেন, ক্রিকেট খেলার জগতে টিকে থাকতে হলে নিজেকে প্রমাণ করার বিকল্প নেই।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *