ছেলেকে লাথি ও মেয়ের গালে থাপ্পড়! আদালতে যা বললেন ইনগেবিগসেনের বাবা?

নर्वे’র খ্যাতনামা অ্যাথলেট, অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয়ী ইয়াকব ইনগেব্রিগসনের বাবা জার্ট ইনগেব্রিগসনের বিরুদ্ধে শিশুদের প্রতি দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

নরওয়ের একটি আদালতে চলমান এই মামলায় তিনি তার সন্তানদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইয়াকবের বাবা জার্ট ইনগেব্রিগসন তার মেয়েকে চাবুক দিয়ে মারধর এবং ইয়াকবকে লাথি মারার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।

মামলার শুনানিতে জার্ট জানান, তিনি কখনো কারও গায়ে হাত তোলেননি।

এমনকি তিনি এতটাই সহিংসতাবিরোধী ছিলেন যে সামরিক বাহিনী থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

সন্তানদের প্রশিক্ষণের সময় কঠোর হওয়ার কথা স্বীকার করলেও, তিনি শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন।

ইয়াকবের ছোট বোন ইনগ্রিডকে একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জার্ট জানান, তিনি দুঃখিত, তবে তোয়ালেটি কেবল তার মেয়ের আঙুলে লেগেছিল।

আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জার্ট জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ইনগ্রিডের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কারণে তার এবং ছেলেদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।

ইনগ্রিড জানিয়েছেন, তার বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে খেলতে যেতে না দেওয়ায় তার বাবা তাকে ‘চাবুক মেরেছিলেন’।

তবে জার্টের দাবি, তোয়ালে দিয়ে তিনি ইনগ্রিডের আঙুলে সামান্য আঘাত করেছিলেন।

আদালতে পেশ করা ছবিতে ইনগ্রিডের মুখে একটি লাল দাগ দেখা গেলেও জার্ট জানান, এটি হয়তো ব্রণ অথবা ত্বকের অন্য কোনো সমস্যার কারণে হয়েছিল।

তিনি আরও যোগ করেন, এই ধরনের সমস্যা তার সব সন্তানেরই হতো যখন তারা ‘উত্তেজিত’ বা ‘দুঃখিত’ থাকত।

ইয়াকব ইনগেব্রিগসন টোকিও অলিম্পিকে ১৫০০ মিটার এবং প্যারিস অলিম্পিকে ৫০০০ মিটারে স্বর্ণপদক জয় করেছেন।

বর্তমানে ১৮ বছর বয়সী ইনগ্রিড তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন না।

জার্ট জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিন তার মেয়ের কথা ভাবেন এবং তাকে খুব মিস করেন।

আদালতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, ইয়াকব যখন আট বা নয় বছর বয়সী ছিলেন, তখন জার্ট তাকে স্কুটার থেকে ফেলে দিয়েছিলেন।

এই অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেছেন।

ইয়াকবের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জার্ট জানান, ইয়াকব সবসময় সুযোগ পেত এবং যা খুশি তাই বলতে পারত।

ইয়াকবের এমন আচরণে তিনি হতাশ ছিলেন।

জার্ট ইনগেব্রিগসন আরও জানান, তিনি তার সন্তানদের সহিংসতাপূর্ণ ভিডিও গেম খেলতে নিষেধ করতেন।

এমনকি একবার তিনি প্লেস্টেশন ভেঙে দ্বিতীয় তলার জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছিলেন।

এই মামলার শুনানি আগামী ১৬ই মে পর্যন্ত চলবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *