প্রেমের শহর: ফ্রান্সকে পেছনে ফেলে সেরা, ইউরোপের নতুন রোমান্টিক গন্তব্য!

ইউরোপের সবচেয়ে রোমান্টিক গন্তব্য হিসেবে ফ্রান্সকে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে সুইজারল্যান্ড। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ওয়াটারওয়েজ নামক একটি সংস্থার গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গতানুগতিক ধারণাকে ভেঙে দিয়ে সুইস সুন্দর্য ও আতিথেয়তার মিশেলে তৈরি হয়েছে এই নতুন আকর্ষণ।

ইউরোপিয়ান ওয়াটারওয়েজের গবেষণা অনুসারে, সুইজারল্যান্ড তার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, বিলাসবহুল রিসোর্ট, এবং উন্নত মানের খাদ্য অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের মন জয় করেছে। গবেষণাটি বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেছে, যার মধ্যে ছিল – রোমান্টিক রেস্টুরেন্টের সংখ্যা, মিশেলিন স্টার প্রাপ্ত রেস্টুরেন্ট, চার বা তার বেশি স্টার সম্পন্ন ওয়াইন বার, ওয়াইন ট্যুর এবং ভিনিয়ার্ডের সংখ্যা। এই সব মানদণ্ডের ভিত্তিতে সুইজারল্যান্ড ২৬৯ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে, যেখানে ফ্রান্সের স্কোর ছিল ২৫০।

ইউরোপিয়ান ওয়াটারওয়েজের ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ মেরিয়ানে স্পার্কস জানান, “ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরে রোমান্সের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল, প্যারিস, বোর্দো এবং কারকাসোনের মতো মনোমুগ্ধকর শহরগুলির কারণে। তবে, সুইজারল্যান্ডের অনন্য আকর্ষণগুলি ফ্রান্সের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন যে, সুইজারল্যান্ডের গুণগত মানের প্রতি মনোযোগ এবং লাভো, ভ্যালাইসের মতো সুন্দর ওয়াইন অঞ্চলগুলি এটিকে খাদ্যরসিক, ওয়াইন প্রেমী এবং রোমান্টিক ডেস্টিনেশন হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

সুইজারল্যান্ডের এই সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারণ হল এখানকার বিলাসবহুল হোটেলগুলি। সেন্ট মরিসের গ্র্যান্ড হোটেল দেস বাইনস কেম্পিনস্কি, জেনেভার দ্য উডওয়ার্ড, এবং লুসার্নের ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল প্যালেসের মতো হোটেলগুলোতে কাপলদের জন্য স্পা, আরামদায়ক কক্ষ এবং আকর্ষণীয় পরিবেশ বিদ্যমান।

তাছাড়া, সারা বছর জুড়েই এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। বসন্তে লেক লুসার্নের চারপাশের ফুলের বাগান থেকে শুরু করে শীতকালে ভারবিয়ারের বরফের ঢাকা পর্বতমালা পর্যন্ত, সুইজারল্যান্ড প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাভূমি।

গবেষণায় গ্রিস ও ইতালির নামও উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে, গ্রিসের সানতোরিনি এবং ইতালির অ্যামালফি উপকূল ও পজিটানো যুগলদের জন্য পছন্দের স্থান।

তবে, যারা ইতিমধ্যেই ফ্রান্সে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ফ্রান্সও তার আকর্ষণ ধরে রেখেছে, সেখানেও অনেক রোমান্টিক স্থান বিদ্যমান।

এই গবেষণার মাধ্যমে ইউরোপে ভ্রমণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে, যেখানে সুইজারল্যান্ড তার নান্দনিকতা ও আতিথেয়তা দিয়ে ভ্রমণপ্রেমীদের মন জয় করতে প্রস্তুত।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লিজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *