মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার ফুটবল লীগ, এনএফএল (NFL)-এ বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে—’টাশ পুশ’ নামের একটি কৌশল নিষিদ্ধ করা হবে কিনা। এই কৌশলটি মূলত খুবই অল্প দূরত্বের জন্য বলটিকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয় এবং এটি খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ও খেলার গতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ফিলাডেলফিয়া ঈগলস দলের খেলোয়াড়েরা প্রায়শই এই কৌশল ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছেন, তবে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে।
‘টাশ পুশ’ কৌশলটি মূলত একজন কোয়ার্টারব্যাককে (quarterback) কেন্দ্র করে সাজানো হয়। এই কৌশলে, খেলোয়াড়েরা কোয়ার্টারব্যাকের পিছনে ধাক্কা দিয়ে অল্প কিছু গজ সামনে এগিয়ে যান। খেলার এই ধরনের কৌশল খেলোয়াড়দের আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায় কিনা, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে।
গ্রিন বে প্যাকার্স নামের একটি দল এই কৌশল নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের মতে, খেলার সময় এটি খেলোয়াড়দের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং খেলার স্বাভাবিক গতিও এতে কমে যায়।
এনএফএল কর্তৃপক্ষের মিটিংয়ে বিষয়টির উপর বিভিন্ন দলের কোচ এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিন্নমত দেখা গেছে। বাফেলো বিলস দলের কোচ শন ম্যাকডারমট খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যবিধির উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
তিনি মনে করেন, এই কৌশলের কারণে খেলোয়াড়দের আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, কানসাস সিটি চিফস দলের কোচ অ্যান্ডি রিড এই খেলার পক্ষে মত দিয়েছেন।
তার মতে, যদি এই কৌশল খেলোয়াড়দের কোনো খারাপ পরিস্থিতিতে না ফেলে, তবে এটি খেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। তবে, পিটসবার্গ স্টিলার্স দলের কোচ মাইক টমলিন বিষয়টির সুরক্ষা দিকটি আরও ভালোভাবে বিবেচনা করতে চাইছেন।
এই আলোচনার পাশাপাশি, এনএফএল আরও কিছু নিয়ম পরিবর্তনের কথা ভাবছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, খেলার শুরুতে কিকঅফের নিয়ম পরিবর্তন এবং প্লে-অফের দল নির্বাচনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা।
এছাড়া, মাঠের খেলার সিদ্ধান্তগুলো আরও ভালোভাবে যাচাই করার জন্য ‘ইনস্ট্যান্ট রিপ্লে’ ব্যবহারের সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খেলার নিয়মকানুন পরিবর্তনের পাশাপাশি, এনএফএল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা সম্প্রসারণের দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে।
খুব শীঘ্রই আবুধাবিতে একটি খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, আগামী বছরগুলোতে ব্রাজিল, মেক্সিকো, জার্মানি, ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে নিয়মিত খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এমনকি ২০২৬ সাল থেকে মেলবোর্নেও এনএফএল খেলার আয়োজন করা হবে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, খেলার সময়সূচীতে পরিবর্তন আনার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এখন থেকে দলগুলো তাদের খেলার সময়সূচী পরিবর্তনের জন্য ২১ দিন সময় পাবে, যেখানে আগে তাদের ২৮ দিন সময় দেওয়া হতো।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস