ডোনাল্ড ট্রাম্প: তৃতীয় মেয়াদের জন্য কি সংবিধান সংশোধন সম্ভব?
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। কিন্তু ট্রাম্পের এমন ইচ্ছা নিয়ে এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা.
অনেকে মনে করছেন, তিনি সম্ভবত সংবিধানের এই সীমাবদ্ধতা ডিঙানোর চেষ্টা করতে পারেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২২তম সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন না। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রার্থী হতে চান, তবে তাকে এই সাংবিধানিক বাধা অতিক্রম করতে হবে।
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কিছু সহযোগী নাকি এই বিষয়ে বিকল্প পথ খুঁজছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্টিফেন ব্যানন, যিনি ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা ছিলেন।
তিনি নাকি বলছেন, ট্রাম্পের তৃতীয় মেয়াদ নিশ্চিত করতে কিছু ‘বিকল্প’ উপায় নিয়ে তারা কাজ করছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এমন ইচ্ছার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, তিনি তার ক্ষমতা ধরে রাখতে চান।
দ্বিতীয়ত, তার সমর্থকেরা তাকে আবার গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে আগ্রহী। তবে, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্পের জন্য তৃতীয় মেয়াদের পথে হাঁটা বেশ কঠিন হবে।
কারণ, সংবিধান সংশোধন করতে হলে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরোতে হবে। এর জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর সমর্থন প্রয়োজন, যা অনেক কঠিন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, ট্রাম্প অতীতেও বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এবং এমন কিছু কাজ করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি।
উদাহরণস্বরূপ, তিনি নির্বাচনের ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করেছিলেন। অনেকে মনে করেন, তৃতীয় মেয়াদের জন্য চেষ্টা করাটাও তার সেই ধারাবাহিকতার অংশ।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেতারা বিভিন্ন উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। কোনো কোনো দেশে সংবিধান পরিবর্তন করে, আবার কোথাও অন্য কোনো কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রে, যেখানে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত, সেখানে এমনটা করা বেশ কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
তবে, এই বিষয়টি এখন অনেক মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে কী হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন