উইসকনসিন নির্বাচন: ভাগ্য নির্ধারণী লড়াইয়ে কী ঘটবে?

উইসকনসিন ও ফ্লোরিডায় গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন: ট্রাম্প পরবর্তী আমেরিকার রাজনীতির গতিপথ?

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনগুলো শুধু একটি রাজ্যের ভোটারদের রায় নয়, বরং তা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। বিশেষ করে উইসকনসিনের সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন এবং ফ্লোরিডার দুটি শূন্য আসনে উপনির্বাচন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই নির্বাচনগুলোর ফলাফল ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী সময়ে আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গনে কেমন পরিবর্তন আনবে, সে সম্পর্কে ধারণা দেবে।

উইসকনসিনের সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকদের রাজনৈতিক ভারসাম্য নির্ধারিত হবে। এই রাজ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়, তাই এই আদালতের সিদ্ধান্ত রাজ্যের ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে। গর্ভপাত, ভোটের অধিকার, সরকারি কর্মচারীদের অধিকারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখানকার আদালতই চূড়ান্ত কথা বলবে।

এই নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে প্রায় ৯ কোটি ডলার খরচ হয়েছে, যা বিচার বিভাগীয় নির্বাচনের ইতিহাসে রেকর্ড।

উইসকনসিন একটি ‘সুইং স্টেট’ হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ যে রাজ্যে কোনো দলের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গত নির্বাচনে এই রাজ্যে ট্রাম্প সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। তাই এখানকার সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন এবং ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

কারণ, এই আদালত নির্বাচনের বিধি তৈরি করতে পারে।

এই নির্বাচনে রিপাবলিকানদের হয়ে লড়ছেন ব্র্যাড শিমেল এবং ডেমোক্র্যাটদের হয়ে সুসান ক্রফোর্ড। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিমেলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

রিপাবলিকানরা আশা করছেন, ট্রাম্পের সমর্থন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আকৃষ্ট করবে। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা এই নির্বাচনকে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি গণভোট হিসেবে দেখছেন। মাস্ক নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জেতাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেছেন।

ফ্লোরিডাতেও দুটি শূন্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও এই নির্বাচনগুলো উইসকনসিনের মতো এত বেশি আলোচনায় নেই, তবে এর ফলাফল রিপাবলিকানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

এই দুটি আসনেই রিপাবলিকান প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন। তবে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এখানে ডেমোক্র্যাটদের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচনগুলো শুধু একটি রাজ্যের ভোটের হিসাব নয়, বরং এর মাধ্যমে বোঝা যাবে ট্রাম্প পরবর্তী সময়ে ভোটারদের মধ্যে রাজনৈতিক মনোভাব কেমন থাকবে। তাই এই নির্বাচনগুলোর দিকে এখন সবার নজর।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *