মারিজুয়ানা ইস্যুতে ট্রাম্পকে টার্গেট, প্রচারে নামল প্রভাবশালী গোষ্ঠী!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাঁজা-বিষয়ক নীতি পরিবর্তনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রভাবিত করতে চাইছে একটি গোষ্ঠী। ‘আমেরিকান রাইটস অ্যান্ড রিফর্ম প্যাক’ নামের এই সংগঠনটি হোয়াইট হাউস এবং মার-এ-লাগো-র আশেপাশে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে ট্রাম্পকে তার পুরনো প্রতিশ্রুতিগুলো মনে করিয়ে দিতে চাইছে।

খবর অনুযায়ী, এই প্রচারের জন্য তারা প্রায় এক মিলিয়ন ডলার খরচ করতে চলেছে।

নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প গাঁজাকে অপরাধমুক্ত করার এবং গাঁজা কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যাংক হিসাব খোলা সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এই বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেই মূলত বিজ্ঞাপনগুলো তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করা হয়েছে, যিনি গাঁজাকে হেরোইনের মতো ক্ষতিকর মাদক হিসেবে গণ্য করা ফেডারেল নীতির অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি।

একইসঙ্গে, কানাডার উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গাঁজা বিষয়ক নীতির সুযোগ নিয়ে দেশটির কোম্পানিগুলো ব্যবসা করছে।

বিজ্ঞাপনগুলোতে ট্রাম্পের আগের মেয়াদে রোগীদের পরীক্ষামূলক চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টিরও প্রশংসা করা হয়েছে। এছাড়া, গাঁজা বিষয়ক ফেডারেল বিধিনিষেধ সহজ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে, যা ট্রাম্পের পূর্বের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত সংগঠনটি জানাচ্ছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হল ট্রাম্পকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা। তাদের মতে, গাঁজা বিষয়ক নীতি পরিবর্তনে সমর্থন জানানো ট্রাম্পের জন্য রাজনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে।

কারণ, সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক আমেরিকান গাঁজা বৈধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এর সমর্থন বাড়ছে।

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর সেপ্টেম্বরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তিনি ফ্লোরিডায় বিনোদনমূলক গাঁজা ব্যবহারের পক্ষে ভোট দেবেন।

নির্বাচিত হলে, গাঁজা কোম্পানিগুলোর জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বার উন্মুক্ত করা এবং রাজ্যগুলোকে গাঁজা বিষয়ক আইন প্রণয়নের স্বাধীনতা দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেবেন বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।

যদিও, বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প প্রশাসন এই বিষয়ে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য হলো ট্রাম্পকে তাঁর আগের প্রতিশ্রুতিগুলো মনে করিয়ে দেওয়া এবং আসন্ন নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের সমর্থন লাভের চেষ্টা করা।

তথ্যসূত্র: সিএনএন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *