যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ)-এর তামাক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান ব্রায়ান কিংকে সম্প্রতি তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এফডিএ-এর কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা সংস্থাটির নেতৃত্ব পর্যায়ে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
জানা গেছে, ব্রায়ান কিংকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে ভারতীয় স্বাস্থ্য বিভাগে পুনর্বাসন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানা যায়, ই-সিগারেটের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর পদক্ষেপের ফলস্বরূপ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ফল ও মিষ্টির স্বাদের ই-সিগারেট বাজার থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
ব্রায়ান কিংয়ের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন ই-সিগারেট প্রস্তুতকারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, এফডিএ-এর এই পদক্ষেপের কারণে তাঁরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। উল্লেখ্য, ব্রায়ান কিং-এর কার্যকালে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহারের প্রবণতা কমে এসেছিল।
এই ঘটনার কয়েক দিন আগে এফডিএ-এর ভ্যাকসিন বিভাগের প্রধান ড. পিটার মার্কস পদত্যাগ করেন। স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদের মধ্যে এমন পরিবর্তন আসায় এফডিএ-এর শীর্ষ পদে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এফডিএ-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে, সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা ভবিষ্যতে তামাক নীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
এফডিএ-এর এই পরিবর্তনগুলি এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন সংস্থাটি অতি-প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, শৈশবের টিকা, এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত পণ্যের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
এই পরিবর্তনের ফলে, এফডিএ-এর নতুন কমিশনার হিসেবে মনোনীত হওয়া মার্টি মাকারি শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের অভাব এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি সংস্থার দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এফডিএ-এর এই পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। যেহেতু তামাকের ব্যবহার এখনো অনেক দেশে একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা, তাই এফডিএ-এর সিদ্ধান্তগুলি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস