আতঙ্কের বিস্ফোরণ! আগ্নেয়গিরির আগুনে বাঁচতে ছুট, খালি হলো আইসল্যান্ডের শহর!

আইসল্যান্ডে আবারও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, শহর ও ব্লু লেগুন খালি।

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডে আবারও একটি শক্তিশালী আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। দেশটির গ্রিন্ডাভিক শহর এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ব্লু লেগুনকে এরই মধ্যে খালি করে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে হওয়া এই অগ্ন্যুৎপাতটি গত কয়েক বছরের মধ্যে হওয়া ১১তম ঘটনা।

আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস (IMO) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ঝাঁক (earthquake swarm) শুরু হওয়ার পরেই অগ্ন্যুৎপাতটি ঘটে।

এর ফলে লাভা এবং ধোঁয়া নির্গত হতে শুরু করে, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গ্রিন্ডাভিক শহরটি রাজধানী রেইকিয়াভিক থেকে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত।

নভেম্বরের শুরুতে হওয়া অগ্ন্যুৎপাতের কারণে শহরটির অনেক স্থানে ফাটল দেখা দেয়, যার গভীরতা ছিল প্রায় ২০ মিটার।

এরপর সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা অন্যত্র চলে যান।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু বাসিন্দা শহর ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তাদের সরানোর চেষ্টা চলছে।

ব্লু লেগুন কর্তৃপক্ষ তাদের স্পা খালি করতে সক্ষম হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে তারা বিস্তারিত তথ্য জানাবে।

আইসল্যান্ডের নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের পরিচালক রুনলফ থোরহালসন, যারা শহর ছাড়েননি, তাদের দ্রুত সরিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

কারণ, এই অগ্ন্যুৎপাতটি আগেরগুলোর চেয়ে অনেক বড় হতে পারে।

কারণ, লাভা নির্গমনের পথটি দীর্ঘ এবং প্রচুর পরিমাণে ম্যাগমা জমা হয়েছে।

পর্যটন বোর্ডের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে কেফলাভিK বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে, অগ্ন্যুৎপাতের কারণে কিছু এলাকায় গ্যাসের দূষণ হতে পারে, যা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

নভেম্বরের অগ্ন্যুৎপাতের পর পর্যটকদের সংখ্যা কিছুটা কমে গেলেও বর্তমানে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা ২ শতাংশ বেড়েছে।

এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে, কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *