এপ্রিলের ফ্যাশন: আকর্ষণীয় সোয়েটার থেকে আরামদায়ক লোফার!

বসন্তের ফ্যাশন: এপ্রিলের জন্য কিছু জরুরি পোশাক আর অনুষঙ্গ। এপ্রিল মাস মানেই ফ্যাশনে নতুনত্বের ছোঁয়া।

শীতের বিদায় আর গরমের আগমন—এই সময়ে পোশাকের ধরনও বদলায়। আরাম আর স্টাইলের মিশেলে কিছু পোশাক আর অনুষঙ্গ এই সময়ে আপনার ফ্যাশনকে অন্য মাত্রা দিতে পারে।

আসুন, দেখে নেওয়া যাক এই মাসের জন্য জরুরি কিছু পোশাক আর অনুষঙ্গ, যা আপনার সংগ্রহে যোগ করতে পারেন।

প্রথমেই আসা যাক আরামদায়ক লোফারের কথায়। পশ্চিমা বিশ্বে এই ধরনের জুতার কদর অনেক।

তবে আমাদের দেশেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডে এখন লোফার পাওয়া যাচ্ছে।

মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার (Marks & Spencer) -এর মতো দোকানে ভালো মানের লোফার পাওয়া যায়। দাম হয়তো কিছুটা বেশি, তবে স্থায়িত্বের দিক থেকে এগুলো বেশ নির্ভরযোগ্য।

এছাড়া, স্থানীয় জুতার দোকানগুলোতেও এই ধরনের জুতা খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

হুডি (hoodie) বা আরামদায়ক জামাকাপড়ের কথা বলতেই হয়।

গরমের শুরুতে পাতলা কাপড়ের হুডি বেশ আরামদায়ক। মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার-এর মতো ব্র্যান্ডে ভালো মানের হুডি পাওয়া যায়।

হুডি-র সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি যেকোনো পোশাকের সঙ্গে সহজে মানিয়ে যায়।

ডেনিম ড্রেস (denim dress) -এর চল সবসময়ই থাকে। ফ্রেঞ্চ কানেকশন (French Connection)-এর ডেনিম ড্রেস-এর ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয়।

গরমের জন্য পাতলা ডেনিম আরামদায়ক হতে পারে। এই ধরনের পোশাক যেকোনো অনুষ্ঠানে আপনাকে স্টাইলিশ করে তুলবে।

ফ্ল্যাট জুতা বা ব্যালে ফ্ল্যাট (ballet flat) সবসময়ই ফ্যাশনে ইন। আরাম এবং স্টাইল দুটোই পাওয়া যায় এই ধরনের জুতোয়।

আপনি যদি একটু অন্যরকম কিছু চান, তাহলে মেরী জেন (Mary Jane) স্টাইলের ফ্ল্যাট বেছে নিতে পারেন।

বসন্তের জন্য হালকা সোয়েটার (spring sweater) দারুণ। হালকা গরমের জন্য এটা আদর্শ।

বডেন (Boden)-এর মতো ব্র্যান্ডে ভালো সোয়েটার পাওয়া যায়।

ঘরের আরামের জন্য আরামদায়ক শর্টস (pyjama shorts) -এর জুড়ি নেই। রাতের বেলা বা ছুটির দিনে পরার জন্য এই ধরনের শর্টস খুবই আরামদায়ক।

পোশাকের বাইরে কিছু অনুষঙ্গ (accessories) যোগ করা যেতে পারে। যেমন— পুঁতির নেকলেস (bead necklace)।

অ্যাকসেসরাইজ (Accessorize)-এর নেকলেস দেখতে পারেন। অথবা, পোশাকের সঙ্গে মানানসই একটি কোট (chore jacket) বেছে নিতে পারেন।

হালকা ওজনের কটন বা লিনেন কাপড়ের কোট গরমে পরার জন্য আরামদায়ক।

এই সময়ের ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করে, আপনি আপনার পোশাকের সংগ্রহে পরিবর্তন আনতে পারেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করে, স্থানীয় ব্র্যান্ড থেকে পোশাক কিনে অথবা দর্জি দিয়ে বানিয়েও আপনি নিজের স্টাইল তৈরি করতে পারেন।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *