বিশ্বজুড়ে এখন সুস্থ জীবনযাত্রার ধারণা বাড়ছে, মানুষ এখন ভ্রমণের মাধ্যমে মানসিক শান্তির অন্বেষণে আগ্রহী হচ্ছে। সম্প্রতি, ব্ল্যাক স্মোক নামক একটি গবেষণা সংস্থা বিশ্বজুড়ে মানসিক শান্তির জন্য সেরা স্থানগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
তাদের সমীক্ষায়, আমেরিকার অ্যারিজোনার সেডোনা শহরকে এই তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে, যা ‘সবচেয়ে মনোযোগী’ গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
পর্যটকদের মধ্যে মানসিক শান্তির চাহিদা বাড়ছে, তাই এই ধরনের গন্তব্যগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে দ্রুত। ব্ল্যাক স্মোকের সমীক্ষাটি ট্রিপঅ্যাডভাইজার-এর রিভিউ, শব্দ বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন কার্যকলাপের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
এই তালিকায় যোগ করা হয়েছে যোগা ও মেডিটেশন কেন্দ্র, স্পা-এর অভিজ্ঞতা এবং প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর স্থানগুলোর মতো বিষয়গুলো।
সেডোনার এই সাফল্যের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এখানকার ‘এনার্জি ভর্টেক্স’ বা শক্তি কেন্দ্রগুলো, যা পর্যটকদের কাছে খুব আকর্ষণীয়। এখানকার লাল পাথরের গঠন ও আধ্যাত্মিক পরিবেশও পর্যটকদের মন জয় করে।
পর্যটকদের বিশ্বাস, এই স্থানগুলো নিরাময়, ধ্যান এবং আত্ম-অনুসন্ধানের জন্য সহায়ক। এখানে রয়েছে অনেক আরামদায়ক হোটেল, যা মানসিক শান্তির অন্বেষণে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্লোভেনিয়ার লেক ব্লেড, যা তার শান্ত জল, নির্জন দ্বীপের চার্চ এবং আল্পাইন সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইংল্যান্ডের লেক জেলা, যা সবুজ পাহাড়, শান্ত হ্রদ এবং সাহিত্যিক অনুভূতির জন্য পরিচিত।
এই তালিকার শীর্ষ দশ-এর অন্য স্থানগুলো হলো ক্যালিফোর্নিয়ার বিগ সুর, গ্রিসের সান্টোরিনি, স্কটল্যান্ডের স্কটিশ হাইল্যান্ডস, উত্তর ক্যারোলিনার অ্যাশেভিল, ইতালির অ্যামালফি উপকূল, ইংল্যান্ডের কর্নওয়াল এবং জাপানের কিয়োটো।
তবে, মানসিক শান্তির জন্য সেরা স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্ল্যাক স্মোকের এই তালিকাটিই একমাত্র নয়। বুকরিট্রিটস-এর মতে, একটি শান্ত অবকাশ যাপনের জন্য আইসল্যান্ড সেরা গন্তব্য, এবং কানাডা উত্তর আমেরিকায় সবচেয়ে আরামদায়ক এবং বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় সেরা স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
পর্যটকদের কাছে মানসিক শান্তির গন্তব্য হিসেবে এই স্থানগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বাংলাদেশেও এখন মানুষজন মানসিক শান্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের ভ্রমণের দিকে ঝুঁকছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে, যেমন – পাহাড়পুর, ময়নামতি কিংবা বিভিন্ন সুফি মাজারগুলোতেও অনেক পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়, যারা এই ধরনের শান্তির অন্বেষণে আসেন।
সুতরাং, যারা মানসিক শান্তির খোঁজে ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য এই স্থানগুলো একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার