যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির আশঙ্কায় ফোর্ড গাড়ির বিক্রি বাড়ছে, বিশ্ব বাণিজ্যে প্রভাব।
বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য নীতিমালায় পরিবর্তন আসায় এর প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে। সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া একটি সিদ্ধান্তের কারণে ফোর্ড গাড়ির বিক্রি বেড়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে। এই ঘটনা বাংলাদেশের জন্য সরাসরি প্রভাব না ফেললেও, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং শুল্ক নীতির পরিবর্তনের ধারণাটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আমদানি করা গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে। এই ঘোষণার পরেই ফোর্ড গাড়ির বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফোর্ড জানিয়েছে, মার্চ মাসে তাদের বিক্রি ১০ শতাংশ বেড়েছে। যদিও পুরো বছরের প্রথম প্রান্তিকে তাদের বিক্রি ১.৩ শতাংশ কমেছিল, তবে মার্চ মাসের শেষে খুচরা বিক্রি ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ ছিল, ক্রেতারা শুল্ক বৃদ্ধির আগেই গাড়ি কিনে ফেলতে চাচ্ছিলেন।
ফোর্ডের কিছু জনপ্রিয় মডেল, যেমন মেক্সিকোতে তৈরি হওয়া ‘মাভেরিক’ ছোট পিকআপ ট্রাক, এই শুল্ক নীতির কারণে বিশেষভাবে প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চ মাসে এই মডেলের ১৯,০০০ টি ট্রাক বিক্রি হয়েছে, যা একটি রেকর্ড। যদিও পুরো প্রথম প্রান্তিকে এই মডেলের বিক্রি ৩ শতাংশ কমেছে, তবে মার্চ মাসের এই বিক্রি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া, মেক্সিকোতে তৈরি হওয়া ফোর্ড ‘মাস্তাং মাখ-ই’ ইলেকট্রিক এসইউভি-র বিক্রিও গত বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে গাড়ির দাম বাড়তে পারে, যা সরাসরি ক্রেতাদের উপর প্রভাব ফেলবে। এই পরিস্থিতিতে, গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসার কৌশল পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং শুল্ক নীতির এই পরিবর্তন বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। যদিও ফোর্ড গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধির এই ঘটনা সরাসরি বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব ফেলবে না, তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং শুল্ক নীতি পরিবর্তনের ধারণাটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন