কাতারগেট: ইসরায়েলে চাঞ্চল্য, নেতানিয়াহুর দুই সহযোগী গ্রেপ্তার!

ইসরায়েলের রাজনীতিতে গভীর হচ্ছে কাতার-সংক্রান্ত বিতর্ক, গ্রেফতার দুই সহযোগী।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা কাতারের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেছেন এবং সেই সূত্রে ঘুষ গ্রহণ করেছেন। এই ঘটনার জেরে ইসরায়েলের রাজনীতিতে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনা ‘কাতারগেট’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

মঙ্গলবার এক ইসরায়েলি আদালত নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা ইয়োনাতান ইউরিচ এবং প্রাক্তন সহযোগী এলি ফেল্ডস্টাইনের রিমান্ডের মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়িয়েছে। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের মুক্তি পেলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা কাতারের হয়ে প্রচারের কাজ করতেন।

আদালতে পেশ করা গোপন নথি থেকে জানা যায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা ঘুষ নিয়েছেন এবং গণমাধ্যমে কাতারের পক্ষে ইতিবাচক খবর পরিবেশন করতে সাংবাদিকদের প্রভাবিত করেছেন। একইসঙ্গে, মিশরের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা খাটো করে দেখিয়েছেন, যা ৭ই অক্টোবরের হামলার পর জিম্মিদের মুক্তি এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে, নেতানিয়াহু এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটা একটা রাজনৈতিক তদন্ত, রাজনৈতিক চাল, এর বেশি কিছু নয়।”

তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, এই তদন্ত তাঁকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করতে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড এই ঘটনাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, “নেতানিয়াহু এই দায় এড়াতে পারেন না।” তিনি আরও যোগ করেন, “যদি তিনি জানতেন, তবে তিনি একটি ভয়ংকর ব্যর্থতার অংশীদার। আর যদি না জেনে থাকেন, তবে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার যোগ্য নন।

বিরোধী দলের আরেক নেতা বেনি গান্টজও নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেছেন, “কাতারগেট’ তদন্ত যত এগোচ্ছে, নেতানিয়াহুও তদন্তের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে তত বেশি সক্রিয় হচ্ছেন।

তদন্ত যত গভীরে যাচ্ছে, তত বেশি হচ্ছে অন্তর্ঘাত।

সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর তরফে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে ইসরায়েলি পুলিশ এবং আদালত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে, নেতানিয়াহু সোমবার পুলিশের কাছে এই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *