আইসল্যান্ডে ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাতের জেরে জরুরি অবস্থা, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে স্থানীয়দের।
আইসল্যান্ডের রেইকজেন্স উপদ্বীপ অঞ্চলে ভূমিকম্প এবং অগ্নুৎপাতের কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রিখটার স্কেলে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকটি কম্পন অনুভূত হয়, যার মধ্যে ৪.৯ এবং ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প ছিল উল্লেখযোগ্য।
ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল গ্রিন্ডাভিক এবং ভোগার এলাকা।
ভূমিকম্পের কারণে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ব্লু লাগুন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা পর্যন্ত এটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটি আরও বাড়ানো হতে পারে।
ব্লু লাগুন-এ রয়েছে একটি স্পা সেন্টারও, যা আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি উষ্ণ প্রস্রবণের মধ্যে বিভিন্ন চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকে।
আইসল্যান্ডের আবহাওয়া দপ্তর ভূমিকম্পের উৎসের কাছাকাছি অবস্থিত একটি আগ্নেয়গিরিকে ‘অরেঞ্জ’ সতর্কতা স্তরে রেখেছে।
এই স্তরের অর্থ হলো, আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে অথবা সামান্য ছাই উদগীরণ হতে পারে।
সাধারণত, এর উপরের স্তরটি হলো ‘রেড’ সতর্কতা, যা সর্বোচ্চ বিপদ নির্দেশ করে।
অন্যান্য আগ্নেয়গিরিগুলো বর্তমানে ‘সবুজ’ সতর্কতার মধ্যে রয়েছে, যা স্বাভাবিক পরিস্থিতি বোঝায়।
আইসল্যান্ডের সিভিল প্রোটেকশন এবং ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সাধারণত প্রতি পাঁচ বছর পর পর আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ মানুষ এই ধরনের ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকে।
তাদের দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থা বেশ কার্যকর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্পের স্থান থেকে বেশি দূরে নয় এমন একটি আগ্নেয়গিরির ম্যাগমা চেম্বারের চাপ পরিমাপ করেছেন একজন বিশেষজ্ঞ।
তাঁর মতে, প্রথমে আরও শক্তিশালী অগ্নুৎপাতের সম্ভাবনা ছিল, তবে প্রকৃতির খেয়ালে তা যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে।
এই আগ্নেয়গিরিটি প্রায় ৮০০ বছর সুপ্ত থাকার পর ২০২৩ সালে জেগে ওঠে।
বর্তমানে কেফ্লাভিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (KEF) বিমান চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি।
বিমানবন্দরটি রেইকজেন্স উপদ্বীপে অবস্থিত এবং গ্রিন্ডাভিক থেকে এর দূরত্ব ৩০ মাইলের কম।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার