মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার এক নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন। এই পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্যকে আরও অস্থির করে তুলতে পারে এবং এর সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবর অনুযায়ী, এই শুল্ক ঘোষণার দিনটিকে ট্রাম্প ‘মুক্তির দিন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হোয়াইট হাউজ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় এই ঘোষণাটি আসার কথা রয়েছে। তবে নতুন এই শুল্কের বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো— যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে উৎপাদন বাড়ানো, অন্য দেশের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্যনীতিগুলোর সমাধান করা, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা এবং অভিবাসন ও মাদক পাচার বন্ধ করা।
ইতিমধ্যে জানা গেছে, চীন, কানাডা এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এরই মধ্যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে এবং বিভিন্ন দেশ এর প্রতিক্রয়া জানাচ্ছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই শুল্ককে ‘অন্যায়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি বাস্তবায়িত হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ইতোমধ্যেই শেয়ার বাজারে দরপতন হয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
গোল্ডম্যান স্যাকস এবং জেপি মরগানের মতো ব্যাংকগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে এবং মন্দা আসার সম্ভাবনাও দেখছে। মিনিয়াপলিস ফেডারেল রিজার্ভের প্রেসিডেন্ট নীল কাশকারি বলেছেন, “কোভিডের সময়কার পরিস্থিতি ছাড়া এমন আত্মবিশ্বাসের অভাব আর কখনো দেখিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। কারণ, এর ফলে অনেক দেশের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কনীতির কারণে বিশ্বজুড়ে পণ্যের দাম বাড়তে পারে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কারণ, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য রয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান