চীনের এক ছাত্র, যিনি লন্ডনে পড়াশোনা করতেন, তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, জেনহাও ঝাউ নামের এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত বহু নারী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ আশঙ্কা করছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অভিযুক্ত ঝাউকে ইতিমধ্যে কয়েকটি ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ (Met Police) সূত্রে খবর, জেনহাও ঝাউ নামের ২৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে লন্ডন এবং চীনের বিভিন্ন স্থানে নারীদের ধর্ষণ করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে (UCL) পিএইচডি (PhD) ছাত্র ছিলেন।
ঝাউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভুক্তভোগীদের মাদক দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে এই কাজ করতেন।
আদালতে পেশ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝাউ তার ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করতেন। পুলিশ তার কাছ থেকে ৫৮টি ভিডিও উদ্ধার করেছে।
ঝাউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে এই ভিডিওগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ঝাউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পর, পুলিশ নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।
এর ফলস্বরূপ, গত কয়েক সপ্তাহে ২৩ জন নারী তাদের ওপর হওয়া যৌন নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী নারীদের মধ্যে কয়েকজন চীনের নাগরিক এবং তারা লন্ডন বা চীনে আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
এই নারীরা বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন। এদের মধ্যে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং ইউরোপের নারীরাও রয়েছেন।
মেট পুলিশের কমান্ডার কেভিন সাউথওয়ার্থ জানান, ঝাউয়ের অপরাধের ব্যাপকতা নিয়ে পুলিশের আশঙ্কা সত্যি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনা আমাদের উদ্বেগের কারণ। কারণ, ঘটনার শিকার নারীদের মধ্যে ২৩ জন এক মাসের মধ্যে অভিযোগ করেছেন।”
পুলিশ মনে করছে, জেনহাও ঝাউ ব্রিটিশ ইতিহাসে নারীদের ওপর যৌন নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধীদের একজন হতে পারে।
ঝাউকে ১৯শে জুন আদালতে হাজির করা হবে এবং সম্ভবত তাকে দীর্ঘ কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী অথবা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা অনলাইনে ঝাউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়াও, survivors@met.police.uk এই ইমেইল ঠিকানায় অথবা +44 101 নম্বরে ফোন করেও অভিযোগ জানানো যাবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান