রিচার্ড বার্টন, এক কিংবদন্তী অভিনেতা। তাঁর অভিনয়শৈলী আজও দর্শককে মুগ্ধ করে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘মি. বার্টন’ সিনেমাটি সেই অভিনেতার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তুলে ধরেছে।
ছবিটিতে দেখা যায়, কীভাবে এক শিক্ষকের হাত ধরে অভিনেতা হিসেবে বারটনের উত্থান হয়।
ওয়েলসের পোর্ট ট্যালবটের বাসিন্দা রিচার্ড বার্টন (জন্মের সময় নাম ছিল রিচার্ড জেনকিন্স)। তাঁর শিক্ষক ফিলিপ বার্টন-ই ছিলেন আসল কারিগর।
ফিলিপ বার্টন ছিলেন বারটনের অনুপ্রেরণা ও শিক্ষক। তিনিই ছিলেন বারটনের অভিনয় জীবনের দিশারী।
বার্টন নামের এই অভিনেতা তাঁর শিক্ষকের পরামর্শেই নিজের নামের শেষে ‘বার্টন’ যুক্ত করেন। এমনকি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেতেও শিক্ষক ফিলিপ বার্টন সাহায্য করেছিলেন।
শিক্ষক ফিলিপ বার্টন তাঁর ছাত্রের মধ্যে অভিনেতা হওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিলেন।
ছবিতে দেখা যায়, কীভাবে ফিলিপ বার্টন তাঁর ছাত্রের প্রতি যত্নশীল ছিলেন এবং তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন। এমনকি, তিনি রিচার্ডের আইনি অভিভাবকও হয়েছিলেন।
সিনেমায় শিক্ষক এবং ছাত্রের সম্পর্কের গভীরতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবিতে বারটনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন হ্যারি লওট এবং শিক্ষক ফিলিপ বার্টনের ভূমিকায় দেখা গেছে টবি জোনসকে।
তবে, এই সম্পর্কটি সবসময় মসৃণ ছিল না। ছবিতে তাদের সম্পর্কের কিছু জটিল দিকও তুলে ধরা হয়েছে।
শোনা যায়, রিচার্ডের বাবার কাছ থেকে অভিভাবকত্ব পাওয়ার জন্য শিক্ষক ফিলিপ বার্টন নাকি কিছু অর্থ খরচ করেছিলেন। যদিও এই বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে ছবিটিতে সেই দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে।
ছবিটি শুধু শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্কের গল্প নয়, বরং উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আত্ম-অনুসন্ধান এবং মানবিক সম্পর্কের নানা দিক এতে উন্মোচিত হয়েছে।
একজন মানুষের জীবনে একজন শিক্ষকের প্রভাব কতটা গভীর হতে পারে, ছবিটি যেন তারই প্রতিচ্ছবি।
‘মি. বার্টন’ সিনেমাটি বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের প্রেক্ষাগৃহে চলছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান