মার্কিনীদের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ: কঙ্গোর প্রেসিডেন্টের চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত!

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের (ডিআরসি) প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি গত বছরের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া তিনজন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র টিনা সালামা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

গত বছর মে মাসে কঙ্গোর রাষ্ট্রপতি ভবন এবং রাজনীতিবিদ ভাইটাল কামেরের বাসভবন দখলের উদ্দেশ্যে চালানো হয় এই সেনা অভ্যুত্থান। অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের মধ্যে ছিলেন মার্সেল মালঙ্গা, টাইলার টমসন জুনিয়র এবং বেঞ্জামিন রিউবেন জালমান-পোলুন।

তাদের সঙ্গে আরও ৩৪ জনকে সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। অভ্যুত্থান চেষ্টার মূল হোতা ছিলেন মার্সেল মালঙ্গার বাবা ক্রিশ্চিয়ান মালঙ্গা। বন্দুকযুদ্ধে ক্রিশ্চিয়ান মালঙ্গাসহ অন্তত ছয়জন নিহত হন।

সালামা আরও জানান, প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বিশেষ সম্পর্ক বা চাপ ছিল না। তবে, কঙ্গো সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ ও নিরাপত্তার বিষয়ে একটি অংশীদারিত্ব চেয়েছিল।

বর্তমানে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও রুয়ান্ডা সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকা বিষয়ক উপদেষ্টা ম্যাসাড বোলস এবং আফ্রিকার বিষয়ক উপ-সহকারী সেক্রেটারি অফ স্টেট কোরিনা স্যান্ডার্স ডিআরসি সফর করবেন। তাদের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে টেকসই শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং দেশটির বেসরকারী খাতে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানো।

তারা রুয়ান্ডা, উগান্ডা ও কেনিয়াতেও যাবেন।

কঙ্গোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত অথবা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ডিআরসির এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কেমন থাকে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *