ভ্যাপ: সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে কি তরুণদের জন্য স্বস্তি?

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে দেশটির খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ)-এর পক্ষে রায় দিয়েছে। এই রায়ে, বাজার থেকে ফ্লেভার যুক্ত (flavored) ভ্যাপিং পণ্য সরানোর সিদ্ধান্তকে বহাল রাখা হয়েছে।

এফডিএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ধরনের পণ্য, বিশেষ করে “পিঙ্ক লেমনেড” বা “রেইনবো রোড”-এর মতো আকর্ষণীয় স্বাদের ই-সিগারেটগুলি মূলত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এই পণ্যগুলো কিশোর-কিশোরীদের আকৃষ্ট করতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিচারপতি স্যামুয়েল আলিটোর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এই রায় দেয়। যদিও আদালত এই মামলাটি আরও পর্যালোচনার জন্য আপিল আদালতে ফেরত পাঠিয়েছে, তবে এফডিএ-এর জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিজয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

জানা গেছে, বাইডেন প্রশাসনের আমলে এফডিএ এই ধরনের ফ্লেভার যুক্ত ভ্যাপিং পণ্যের বাজারজাতকরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

এই রায়ের প্রেক্ষাপটে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভ্যাপিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। এফডিএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ১৯ শতাংশ হাই স্কুল শিক্ষার্থী এবং ৪.৭ শতাংশ মিডল স্কুলের শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে ভ্যাপিং করত।

যা ধূমপানের তুলনায় অনেক বেশি।

আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে, এখন প্রশ্ন উঠছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া নীতির ভবিষ্যৎ কী হবে। কারণ, নির্বাচনের সময় ট্রাম্প “ভ্যাপিং বাঁচানোর” প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, ভ্যাপিং কোম্পানিগুলোও তাদের পণ্য বাজারজাত করার জন্য পুনরায় এফডিএ-এর অনুমোদন চাইতে পারবে।

যদিও এই রায়ের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশে এখনো দৃশ্যমান নয়, তবে ভ্যাপিং পণ্যের বাজার এবং তরুণ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

ভবিষ্যতে, এই ধরনের সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদেরও এ বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *