মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের সুবিধার্থে দেশটির সামরিক জান্তা সশস্ত্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।
বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এমআরটিভি’র খবরে জানানো হয়, আগামী ২ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
গত সপ্তাহে মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।
ভূমিকম্পের কারণে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এই পরিস্থিতিতে সামরিক জান্তা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে, যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এমআরটিভি’র খবরে বলা হয়েছে, দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সামরিক জান্তার মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, যুদ্ধবিরতির সময় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করা হবে, যাতে করে শান্তি প্রক্রিয়া আরও বেগবান করা যায়।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরেই অস্থির। দেশটির সামরিক বাহিনী ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে।
এরপর থেকে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
তবে, এই যুদ্ধবিরতি কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে। অতীতেও এমন ঘোষণার পরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং মানবিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন