ফ্লিপ-ফ্লপের দাম: ৬৭,০০০ টাকায় কি পাওয়া যায় কিছু?

শিরোনাম: বিলাসবহুল ফ্লিপ-ফ্লপ: ১ লাখ টাকার স্যান্ডেল কি সত্যিই মূল্যবান?

সাধারণ মানুষের কাছে হয়তো বিষয়টি কল্পনাতীত, কিন্তু ফ্যাশন দুনিয়ায় এমন অনেক কিছুই সম্ভব যা আমাদের ধারণার বাইরে। সম্প্রতি, একটি ফ্লিপ-ফ্লপের দাম নিয়ে ফ্যাশন জগতে বেশ আলোচনা চলছে, যার মূল্য শুনলে আপনি হয়তো চমকে উঠবেন।

এই ফ্লিপ-ফ্লপ তৈরি করেছে ‘দ্য রো’ (The Row) নামক একটি বিলাসবহুল ফ্যাশন ব্র্যান্ড, যা অভিনেত্রী-ডিজাইনার মেরী-কেট ও অ্যাশলে ওলসেন (Olsen twins) -এর গড়া। এই ফ্লিপ-ফ্লপের দাম রাখা হয়েছে ৬৭০ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (১ পাউন্ড = ১৪২ টাকা ধরে) প্রায় ৯৫,৩৯০ টাকার মতো!

ফ্লিপ-ফ্লপ, যা সাধারণত সমুদ্র সৈকতে বা সাধারণ ব্যবহারের জন্য খুবই পরিচিত, তার এমন আকাশছোঁয়া দাম সত্যিই অনেকের কাছে বিস্ময়কর। আমাদের দেশে হয়তো একটি ভালো মানের ফ্লিপ-ফ্লপ কিনতে সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হয়, সেখানে এই স্যান্ডেলের দাম শুনলে যে কেউ অবাক হবেন।

প্রশ্ন হলো, একটি সাধারণ ফ্লিপ-ফ্লপের জন্য এত টাকা খরচ করার কি কোনো যুক্তি আছে?

আসলে, ‘দ্য রো’ -এর এই ফ্লিপ-ফ্লপ সাধারণ কোনো পণ্য নয়। এটি তৈরি হয়েছে ইতালিতে, যা এর উচ্চ মূল্যের একটি কারণ হতে পারে। তবে, এর প্রধান কারণ হলো ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং ফ্যাশন দুনিয়ার বিলাসিতা।

ওলসেন বোনদের তৈরি এই ফ্যাশন ব্র্যান্ডটি মূলত তাদের ডিজাইন ও গুণগত মানের জন্য পরিচিত। তাদের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের মতোই, এই ফ্লিপ-ফ্লপও তাদের ব্র্যান্ডের একটি অংশ, যা উচ্চবিত্ত শ্রেণীর গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে।

ফ্যাশন সমালোচকদের মতে, এই ধরনের পণ্যের দাম অনেক সময় অযৌক্তিক মনে হতে পারে। তাদের মতে, এই ফ্লিপ-ফ্লপের নির্মাণশৈলী বা উপাদানে এমন কিছু নেই যা এটিকে অন্য সাধারণ ফ্লিপ-ফ্লপ থেকে অনেক বেশি আলাদা করে।

এখানে মূল আকর্ষণ হলো ব্র্যান্ডের নাম এবং বিশেষত্ব।

তবে, এই ধরনের পণ্যের চাহিদা বাজারে সবসময়ই থাকে। ফ্যাশন সচেতন এবং বিত্তবান মানুষের কাছে, একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের ফ্লিপ-ফ্লপ পরাটা হয়তো তাদের স্টাইল স্টেটমেন্টের অংশ।

যদিও এই মূল্যে একটি ফ্লিপ-ফ্লপ কেনা অনেকের কাছে বিলাসিতা মনে হতে পারে, এটি ফ্যাশন জগতের একটি বাস্তবতা।

এই প্রসঙ্গে, একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, উন্নত বিশ্বে শুল্ক (tariff) নীতির কারণে এই ফ্লিপ-ফ্লপের দাম আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি শুল্কের কারণে পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

সুতরাং, ১ লাখ টাকার ফ্লিপ-ফ্লপ-এর ধারণাটি অনেকের কাছে হয়তো আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো, কিন্তু ফ্যাশন দুনিয়ায় এটি একটি বাস্তবতা। এই ধরনের পণ্যের চাহিদা, ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং বাজারের গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করে এর ভবিষ্যৎ।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *