মিলিয়ন মানুষের সঙ্গে ঘুমানোর সময় পাইনি: বিস্ফোরক মন্তব্য গায়ক ও গীতিকার এগ হোয়াইটের!

শিরোনাম: অ্যাডেল, ডাফির হিট গানের কারিগর: সংগীতের জগতে এক ব্যতিক্রমী শিল্পী

সংগীতের জগতে এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা পর্দার আড়ালে থেকে সুরের জাদু তৈরি করেন, গানকে পৌঁছে দেন কোটি কোটি মানুষের কাছে। ব্রিটিশ গীতিকার ও সুরকার এগ হোয়াইট (ফ্রান্সিস হোয়াইট) তেমনই একজন।

অ্যাডেল, ডাফি, উইল ইয়ংয়ের মতো বিশ্বখ্যাত শিল্পীদের জনপ্রিয় গানের নেপথ্যে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি, তিনি সংবাদ শিরোনামে এসেছেন ‘মিডনাইট কাউবয়’ নামক একটি নাটকের সংগীত পরিচালনার কাজ করার জন্য।

এগ হোয়াইটের জন্ম লন্ডনে, সংগীতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে বেড়ে ওঠা। ছোটবেলায় পিয়ানো, ভায়োলিন, বাঁশি এবং ডাবল বেস বাজানো শিখেছিলেন তিনি।

নব্বইয়ের দশকে তিনি ‘ব্রাদার বিয়ন্ড’ নামক একটি ব্যান্ডে ছিলেন, তবে পরবর্তীতে একক ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করেন। পরবর্তীতে তিনি গান লেখা ও সুর করার দিকে মনোযোগ দেন এবং একে একে তৈরি করেন জনপ্রিয় সব গান।

এগ হোয়াইটের গানের বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাডেলের ‘চেজিং প্যাভমেন্টস’ গানের কথা বলা যায়।

গানটির সুর এবং নির্মাণশৈলীতে ভিন্নতা এনেছিলেন তিনি, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে, সংগীতের এই ডিজিটাল যুগে, যেখানে টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মে গানের দৈর্ঘ্য কয়েক সেকেন্ডে সীমাবদ্ধ, সেখানে তিনি তার সৃষ্টিশীলতাকে টিকিয়ে রাখতে চান।

‘মিডনাইট কাউবয়’ নাটকের সংগীত পরিচালনার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এগ হোয়াইট জানান, মূল সিনেমার বিষণ্ণতা তাকে হতাশ করেছিল। তাই, তিনি চেয়েছেন গানের মাধ্যমে দর্শকদের অন্যরকম অনুভূতি দিতে।

এগ হোয়াইটের মতে, তরুণ প্রজন্মের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করাটা বেশ আনন্দের। কারণ, তাদের মধ্যে নতুন কিছু করার আগ্রহ থাকে। অ্যাডেলের সঙ্গে তার কাজের অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।

তিনি বলেন, অ্যাডেল যখন গানটি গাইতেন, মনে হতো যেন ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর শুনছি।

সংগীতের এই পরিবর্তনশীল বিশ্বে, এগ হোয়াইট সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। তিনি মনে করেন, একজন শিল্পীকে সৃজনশীল থাকতে হলে প্রচলিত ধারণার বাইরে যেতে হবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *