নোটোরিটির নেশায়: কেন শিশুদের খুন করেছিল সেই বন্দুকধারী?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

গত বছর মার্চ মাসে, নোভেল স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী অড্রে হেল, নিজের পুরোনো বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছিলো। এই হামলায় তিনজন শিশুসহ মোট ছয় জন নিহত হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেছে।

তদন্তকারীরা হামলাকারীর ব্যবহৃত ডিভাইস, লেখা এবং অন্যান্য সামগ্রী পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখেছেন।

তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই হামলার মূল কারণ ছিল পরিচিতি লাভ করা। অড্রে হেল চেয়েছিলেন, তার এই ঘৃণ্য কাজটি ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকুক। কলম্বাইন হাই স্কুলে ঘটা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা থেকে সে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অড্রে হেল স্কুলের কারো প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতেন না। বরং, বিদ্যালয় এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তিনি নিজের মতোই নিরীহ এবং অসহায় মনে করতেন।

হামলার সময় তিনি একটি অ্যাসল্ট-স্টাইল রাইফেল ব্যবহার করেন।

তদন্তে আরও জানা গেছে, হামলার আগে হেল বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন।

এমনকি, হামলার পরে তার কাজগুলি কীভাবে আলোচনা করা হবে, সে সম্পর্কেও তিনি ধারণা দিয়ে গিয়েছিলেন। তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, এই ঘটনার মাধ্যমে নিজের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যাগুলো তুলে ধরা, এবং অন্যদেরকে অনুরূপ হামলা চালানোর জন্য উৎসাহিত করা।

অড্রে হেল নিজের লেখায় উল্লেখ করেছিলেন, যদি তার আত্মহত্যার ইচ্ছা থাকত, তবে তিনি সরাসরি সে পথ বেছে নিতেন। কিন্তু তার লক্ষ্য ছিল, এমন কিছু করা যা দীর্ঘকাল ধরে মানুষের মনে গেঁথে থাকবে।

যদিও অড্রে হেলের বাবা-মা এবং একজন থেরাপিস্ট তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু হেল তার পরিকল্পনার কথা তাদের জানাননি।

এমনকি, তিনি তার থেরাপিস্টের কাছ থেকেও তথ্য গোপন করতেন, যাতে তার পরিকল্পনা ভেস্তে না যায়।

এই ঘটনায় নিহত হওয়াদের মধ্যে ছিলেন তিনজন শিশু, একজন শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের প্রধান।

ঘটনাটি পুরো আমেরিকায় শোকের ছায়া নামিয়ে এনেছিল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন ঘটনা খুবই বিরল, তবে এটি সারা বিশ্বের মানুষের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।

তদন্ত এখনো চলছে এবং ভবিষ্যতে আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *