মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকান নাগরিকদের জন্য অনেক পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
ইতিমধ্যেই মূল্যবৃদ্ধি এবং উচ্চ সুদের হারের কারণে ভোক্তাদের মধ্যে দুর্বলতা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, এই শুল্ক আরোপ তাদের কেনাকাটার ধরন এবং সঞ্চয়ে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা জানতে চাইছে সিএনএন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন শুল্কগুলি মূলত আমদানি করা পণ্যের ওপর ধার্য করা হবে। এর ফলে, বাজারে জিনিসের দাম বাড়তে পারে, যা আমেরিকান পরিবারগুলির জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে দেবে।
যেহেতু বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, তাই স্বাভাবিকভাবেই মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে যেতে পারে। অনেক পরিবার হয়তো তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা কমিয়ে দেবে বা অন্য কোনোভাবে খরচ কমাতে বাধ্য হবে।
এই ধরনের শুল্ক নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর সরাসরি প্রভাব হয়তো বাংলাদেশের উপর পড়বে না, তবে বিশ্ব অর্থনীতির উপর এর প্রভাব থাকবে।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববাজারে পণ্যের দামের পরিবর্তন হতে পারে, যা বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। আবার, বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিলে, তা বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।
সিএনএন-এর পক্ষ থেকে আমেরিকান নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, এই শুল্ক আরোপের ফলে তাদের জীবনযাত্রায় কোনো পরিবর্তন আসছে কিনা। তারা তাদের কেনাকাটার ধরন, সঞ্চয় এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো কীভাবে পরিবর্তন করছেন, সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
এই ঘটনা বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রকৃতির একটি উদাহরণ। উন্নত দেশগুলোতে নেওয়া অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতি, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
তথ্য সূত্র: CNN