বন্ড ছবিতে পিয়ের্স ব্রসনানের সাথে অভিনয়ের সময় কি ঘটল রোজামান্ড পাইকের?

বিখ্যাত অভিনেত্রী রোজামান্ড পাইক সম্প্রতি তার অভিনয় জীবনের শুরুর দিকের একটি মজার ঘটনা সকলের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ২০০২ সালের জেমস বন্ড সিনেমা ‘ডাই অ্যানাদার ডে’ (Die Another Day) – এর শুটিংয়ের সময় ঘটেছিল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

ডেভিড টেন্যান্টের একটি পডকাস্টে তিনি এই অভিজ্ঞতার কথা জানান।

সেই সময় পাইকের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। সিনেমাটিতে তিনি পিয়ের্স ব্রসনানের বিপরীতে বন্ড গার্ল মিরাান্ডা ফ্রস্টের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

সিনেমার একটি দৃশ্যে, যেখানে তাদের একটি ভালোবাসার দৃশ্য ছিল, পাইক জানান সেই দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় তার ঘটেছিল এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। দৃশ্যটি একটি নকল পশমের তৈরি বিছানায় ধারণ করা হচ্ছিল।

পাইক জানান, দৃশ্যের জন্য তিনি স্তনবৃন্ত ঢাকার জন্য টেপ ব্যবহার করেছিলেন।

দৃশ্যটির শুটিংয়ের সময়, চুম্বন এবং আলিঙ্গনের পরে তিনি যখন ব্রসনান থেকে আলাদা হচ্ছিলেন, তখন তিনি নিজের শরীরের টেপ এবং স্তনবৃন্তের ঢাকাগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলেন।

তিনি বলেন, “আমি ভালোভাবে লক্ষ্য করলাম, আমার টেপ এবং স্তনবৃন্তের ঢাকাগুলোতে অনেক চুল লেগে রয়েছে। আমার মনে হলো, ‘ওহ মাই গড, আমি কি পিয়ের্সের বুকের লোম তুলছি?”

পাইক জানান, তিনি বেশ বিব্রত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, “আরে, লোকটা তো দারুণ সাহসী, আর আমি প্রত্যেকবার আলিঙ্গন করার সময় তার বুকের লোম ছিঁড়ছি।”

কয়েকবার দৃশ্যটি করার পরেই তিনি বুঝতে পারেন আসল ঘটনা। বিষয়টি ছিল বিছানার নকল পশমের কারুকার্য।

হাসতে হাসতে পাইক বলেন, তিনি সত্যি সত্যি ভেবেছিলেন যে তিনি লোকটির বুকের লোম তুলছেন। ‘ডাই অ্যানাদার ডে’ ছিল পাইকের প্রথম ব্লকবাস্টার সিনেমা।

এরপর তিনি ‘গন গার্ল’ (Gone Girl) এবং ‘স্যাল্টবার্ন’ (Saltburn) এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে, পিয়ের্স ব্রসনান এর আগে আরও তিনটি জেমস বন্ড সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাগুলো হলো – গোল্ডেনআই (GoldenEye) (১৯৯৫), টুমরো নেভার ডাইজ (Tomorrow Never Dies) (১৯৯৭), এবং দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ (The World Is Not Enough) (১৯৯৯)।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *