বন্ধু হারানোর পর ন্যান্সি ওয়াটস ও বিশাল কুকুরের লড়াই: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া সিনেমা!

নিউ ইয়র্কের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা নতুন চলচ্চিত্র ‘দ্য ফ্রেন্ড’ মুক্তি পেয়েছে। এই ছবিতে লেখক আইরিস (নওমি ওয়াটস) এবং তার বন্ধু ওয়াল্টার (বিল মারে)-এর গল্প তুলে ধরা হয়েছে।

ওয়াল্টার ছিলেন একজন খ্যাতিমান লেখক, যিনি তার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অপ্রত্যাশিতভাবে মারা যান। তার মৃত্যুর পর, আইরিসকে তার বিশাল আকৃতির কুকুর অ্যাপোলোর (বিং) দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে হয়।

ছবিটির গল্পে, আইরিসের জীবন নতুন মোড় নেয় যখন তিনি ওয়াল্টারের আদরের কুকুরটিকে নিজের ছোট অ্যাপার্টমেন্টে রাখতে বাধ্য হন। একদিকে প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুশোক, অন্যদিকে বিশাল কুকুরের দেখাশোনার দায়িত্ব—এসবের মধ্যে আইরিসের জীবন এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়।

ওয়াল্টারের চরিত্রে বিল মারে-র অভিনয় দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে।

এই ছবিতে বন্ধুত্ব, শোক এবং অপ্রত্যাশিত সম্পর্কের গভীরতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পরিচালকদ্বয় স্কট ম্যাকিহী এবং ডেভিড সিগেল সিগ্রিড নুনেজের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন।

ছবিতে নওমি ওয়াটস-এর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে, যিনি আইরিসের চরিত্রে গভীরতা এনেছেন। অ্যাপোলো চরিত্রে অভিনয় করা কুকুরটিও দর্শকদের নজর কেড়েছে।

ছবিটি মূলত মানুষের জীবনের জটিলতা, সম্পর্ক এবং ভালোবাসার গল্প বলে। ওয়াল্টারের মৃত্যুর পর আইরিস কীভাবে শোক কাটিয়ে ওঠে এবং অ্যাপোলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা-ই ছবির মূল বিষয়।

ছবির প্রেক্ষাপট নিউ ইয়র্ক শহর হলেও, এর গল্প universal, যা যেকোনো সংস্কৃতিতে মানুষের কাছে পরিচিত।

‘দ্য ফ্রেন্ড’ ছবিটিতে কিছু প্রাপ্তবয়স্ক সংলাপ ও দৃশ্যের কারণে এটিকে ‘আর’ রেটিং দেওয়া হয়েছে। ছবিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৩ মিনিট।

সব মিলিয়ে, যারা গভীর এবং মানবিক গল্পের ছবি দেখতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য ‘দ্য ফ্রেন্ড’ একটি উপভোগ্য সিনেমা হতে পারে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *